জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে চিনে শুরু হবে নববর্ষের উৎসব। ফাইল ছবি।
চিন-সহ বেশ কিছু দেশে ফের মাথা তুলেছে কোভিড সংক্রমণ। যা উস্কে দিচ্ছে দু’বছর আগের স্মৃতি। তখন অতিমারিতে জেরবার বিশ্বে টান পড়েছিল ফ্রিজ়, টিভি-র মতো দীর্ঘমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের যন্ত্রাংশে। বিশেষত, ওই চিন থেকেই আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তীব্র সমস্যায় পড়ে ভারতীয় সংস্থাগুলি। এমনিতেই ধাক্কা খাচ্ছিল বিক্রি। তার উপর অনেকের তলানিতে থাকা চাহিদা পূরণও কঠিন হচ্ছিল উপাদানের ঘাটতিতে উৎপাদন চোট খাওয়ায়। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার আগেভাগে সতর্ক এ দেশের শিল্পমহল। যাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হলে অসুবিধার মুখে পড়তে না-হয়, সে জন্য এখন থেকেই যন্ত্রাংশ-সহ নানা উপাদান মজুত করছে তারা।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে চিনে শুরু হবে নববর্ষের উৎসব। সেই মরসুম কাটিয়ে ফেব্রুয়ারিতে করোনা বিধিনিষেধের জন্য কারখানা পুরোপুরি চালুর ক্ষেত্রে ঝামেলায় পড়তে পারে সেখানকার সংস্থাগুলি। এ দিকে ভারতে সাধারণত ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলি এক মাসের কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ মজুত রাখে। চিনের পরিস্থিতি দেখে অন্তত দু’তিন মাসের মজুতের ব্যবস্থা করছে তারা।
শিল্পের একাংশের দাবি, এখনও পর্যন্ত সব কিছু ঠিক রয়েছে। চিনের উপরে নির্ভরতা কমাচ্ছে সংস্থাগুলি। তবে অন্য অংশের মতে, সব সংস্থা এক সঙ্গে যন্ত্রাংশ কিনতে দৌড়লে, সেগুলির দাম বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা থাকছে। তখন বিশ্ব জুড়ে ধাক্কা খেতে পারে পণ্য বিক্রি। বিশেষত, চাহিদা যখন এখনও পুরো ফেরেনি। তাই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিচ্ছে তারা।