প্রতীকী ছবি।
চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি ৯.৫% সঙ্কুচিত হতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অক্টোবরের গোড়া থেকে অতিমারির কামড়ে অর্থনীতির ক্ষতির হিসেব কষার কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রও। এরই মধ্যে গত ১৩-২১ অক্টোবর ৫৫ জন অর্থনীতিবিদের মধ্যে এ ব্যাপারে সমীক্ষা চালায় সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তাঁদের বড় অংশও বলছেন, বাস্তবে সঙ্কোচনের হার হবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের আশঙ্কার চেয়ে বেশি। অর্থাৎ, তা পেরিয়ে যেতে পারে ১০%।
সম্প্রতি আইএমএফ-ও এ বছর ভারতের অর্থনীতির ১০.৩% সঙ্কোচনের পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের ইঙ্গিতে তা ৯.৬% হলেও, বহু আর্থিক ও মূল্যায়ন সংস্থার পূর্বাভাস ১০ শতাংশের উপরে। রয়টার্সের সমীক্ষায় ২৬ জন অর্থনীতিবিদের আশঙ্কা একই রকম।
ভারতে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা এখন আমেরিকার পরে সব থেকে বেশি। এই অবস্থায় অর্থনীতিকে ফের ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে লকডাউনের কড়াকড়ির অধিকাংশই তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। তবে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে আশঙ্কা ছাপিয়ে জিডিপি-র সঙ্কোচন ২৩.৯% হওয়ার পরে উদ্বেগ বেড়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক বলেছিল, ভারতের অবস্থা এতটা খারাপ আগে কখনও হয়নি। এমন অবস্থা যুঝতে মোদী সরকার তিন দফা দাওয়াইয়ের যে ঘোষণা করেছে, প্রয়োজনের তুলনায় তা কিছুই নয় বলে রয়টার্সের সমীক্ষায় দাবি করেছেন অর্থনীতিবিদদের বড় অংশ। এর আগে যা নিয়ে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা।
রয়টার্সের অন্তত ৩২ জন অর্থনীতিবিদ জানিয়েছেন, কেন্দ্র সাধারণ মানুষের খরচ বাড়ানোর কথা বলে কিছু পদক্ষেপ করলেও, সেই দাওয়াইগুলি আর্থিক বৃদ্ধির হারকে ঠেলে তেমন উপরে তুলতে পারবে না। তাঁদের মতে, অর্থনীতির বহর আগের জায়গায় পৌঁছতে আরও এক বছর সময় লাগবে। সম্প্রতি যে কথা বলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।