লক্ষী বিলাস ব্যাঙ্কের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল আরবিআই।
মাথায় বিপুল অনাদায়ি ঋণের বোঝা। ঝুঁকি সামলানোর মতো পুঁজির অভাব। টানা দু’বছর সম্পদ থেকে আয় কম। এই পরিস্থিতিতে লক্ষ্মী বিলাস ব্যাঙ্ককে প্রম্পট কারেকটিভ অ্যাকশনের (পিসিএ) আওতায় আনল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শনিবার বেসরকারি ব্যাঙ্কটিই এ কথা জানিয়েছে। পিসিএ-র আওতায় আসার অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের উপরে বেশ কিছু বিধিনিষেধ চাপা। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ঋণ দেওয়া কমিয়ে অল্প কয়েকটি ক্ষেত্রে ঋণ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে ব্যাঙ্কটিকে। খোলা যাবে না নতুন শাখা। দেওয়া যাবে না ডিভিডেন্ড। এখন ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্কও রয়েছে পিসিএ-র আওতায় রয়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে লক্ষ্মী বিলাস ব্যাঙ্কের নিট ক্ষতি হয়েছে ৮৯৪ কোটি টাকার বেশি। অনাদায়ি ঋণ মোট ঋণের প্রায় ৭.৪৯%। একটি আর্থিক সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাঙ্কটির ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা। সব মিলিয়ে ইন্ডিয়াবুলস হাউজিং ফিনান্সের সঙ্গে তাদের সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব নিয়ে সংশয় তৈরি হল বলে মনে করছেন অনেকে। সার্বিক এই পরিস্থিতির মধ্যেই অবশ্য এ দিন ব্যাঙ্কটি জানিয়েছে, বাজার থেকে ১,০০০ কোটি টাকা তোলার ব্যাপারে তারা শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন পেয়েছে।