—প্রতীকী চিত্র।
এ বার জিওফোনেও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার সুবিধা মিলতে চলেছে। বিজনেস টুডে-র খবর অনুযায়ী, জিওফোনেও যাতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায়, সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন জিও কর্তারা। ‘ফেসবুক লাইট’-এর মতো হোয়াটসঅ্যাপেরও কোনও ‘লাইট’ ভার্সন জিওফোনে ব্যবহার করা যায় কি না, সে বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আবির্ভাবের পর থেকেই ভারতের টেলিকম দুনিয়ায় একের পর এক বিপ্লব ঘটাচ্ছে জিও। রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় মুকেশ অম্বানী নতুন ফিচার ফোন আনার কথা ঘোষণা করেছেন। জানিয়েছেন, তিন বছর জিও-র পরিষেবা ব্যবহারের পরে সেটি ফেরত দিলে, ফিরিয়ে দেওয়া হবে আগে জমা রাখা দেড় হাজার টাকা। অর্থাত্, ভারতের বাজারে কার্যত বিনামূল্যে জিওফোন আনার কথা ঘোষণা করেন রিলায়েন্স কর্তা। ভয়েস কন্ট্রোল, জিও মুভির সাহায্যে সিনেমা দেখা বা এইচডি ভয়েস কল-এর মতো একাধিক সুবিধা পাওয়া যাবে এই ফোনের সঙ্গে। কিন্তু জিওফোনে হোয়াটস্অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না জানতে পেরে আফশোস করতে থাকেন অসংখ্য গ্রাহক। নতুন জিও ফোন কেনার ক্ষেত্রেও তাই উত্সাহ হারান অনেকে।
আরও পড়ুন:
কলেজ পড়ুয়াদের বিনামূল্যে ওয়াইফাই দেবে জিও!
জিও-ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে না!
কিন্তু এক ফোনে এত সুবিধে যেখানে, সেখানে গ্রাহকরা শুধুমাত্র হোয়াটস্অ্যাপ না থাকার অসুবিধা ভোগ করবেন, তা তো হতে পারে না! তাই এ বার আসরে নেমে পড়েছেন দুই সংস্থার শীর্ষ কর্তারা। বিজনেস টুডে-র খবর অনুযায়ী, জিওফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করায় কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যাকে অতিক্রম করতে বধ্যপরিকর হোয়াটস্অ্যাপ ও রিলায়েন্স কর্তারা। জিও-র নিজস্ব মেসেজিং অ্যাপ, ‘জিওচ্যাট’ এখনও ততটা জনপ্রিয় নয়। তাই দেশের বেশিরভাগ গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে জিওফোনেও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার সুবিধা দিতে চান মুকেশ অম্বানী।