—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP
শেয়ার বাজারের একের পর এক মাইলফলক পেরোতে থাকা দৌড় অব্যাহত। এ বার সেই রাস্তায় এই প্রথম ৮৩ হাজার ছুঁয়ে ফেলল সেনসেক্স। ১৫৯৩.০৩ পয়েন্ট উঠে পৌঁছল ৮৩,১১৬.১৯ অঙ্কে। তবে এই সর্বকালীন উচ্চতায় থিতু হয়নি। বৃহস্পতিবার সূচকটি ১৪৩৯.৫৫ উঠে থেমেছে ৮২,৯৬২.৭১-এ। এটিও সেনসেক্সের নজিরবিহীন শিখর। লগ্নিকারীদের শেয়ার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৬.৫৯ লক্ষ কোটি টাকা। নজির গড়েছে নিফ্টিও। ৪৭০.৪৫ পয়েন্ট উঠে প্রথম বার পৌঁছেছে ২৫,৩৮৮.৯০-এ। এ দিন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে ৭৬৯৫ কোটি টাকা ঢেলেছে।
বিশেষজ্ঞ আশিস দে-র দাবি, চলতি মাসে আমেরিকায় সুদ কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত বলে মনে করছেন লগ্নিকারীরা। ফলে বিশ্ব জুড়ে সব বাজারই চাঙ্গা। তার উপর বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ৭০ ডলারের নীচে নামায় ভারতের আমদানি খরচে সাশ্রয় হবে। বজাজ হাউসিং ফিনান্সের শেয়ার (আইপিও) কেনার রেকর্ড পরিমাণ আবেদন জমা পড়েছে, যা বাজারে নগদ বাড়াবে।
যদিও বিশেষজ্ঞ কমল পারেখের মতে, বহু শেয়ারের দাম এখন বেশি চড়া। জুলাই-সেপ্টেম্বরে সংস্থার আর্থিক ফল বেরোলে যদি দেখা যায় তাদের আয়-মুনাফার সঙ্গে ওই দরের সামঞ্জস্য নেই, তা হলে দামে বড় পতন হতে পারে। আমেরিকা এবং চিনের অর্থনীতির শ্লথ হওয়াও ভারতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এ সব মাথায় রেখে সাধারণ লগ্নিকারীদের শেয়ার কিনতে হবে। ে হবে। কমলবাবুর বার্তা, ‘‘বাজার যত উঠছে, ঝুঁকি তত বাড়ছে। এখন শেয়ারের চাহিদার থেকে জোগান কম। ফলে দাম বেড়ে যাচ্ছে।’’