চাহিদা ফেরেনি তিন বছরেও

নাইট ফ্র্যাঙ্কের প্রধান শিশির বৈজাল মনে করছেন, চাহিদা ও সরবরাহের অসামঞ্জস্য কাটতে এখনও দেরি আছে। নির্মাণ সংস্থাদের সংগঠন ক্রেডাইয়ের অন্যতম কর্তা হর্ষবর্ধন পাটোডিয়া বলেন, ‘‘নোটবন্দি ছাড়াও জিএসটি, নতুন আবাসন আইন ও পুঁজির অভাবে আবাসন শিল্প কিছুতেই সুসময়ে ফিরতে পারছে না। পরিস্থিতি বদলাতে অন্তত এক বছর লাগবে।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৭
Share:

ফাইল চিত্র। (শাটারস্টক)

ছবি বদলায়নি তিন বছরেও। আবাসন শিল্পে চাহিদার সেই ভাটা বহাল রয়েছে এখনও।

Advertisement

২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবাতিলের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক সন্ধ্যায় অচল হয়ে গিয়েছিল বাজারে থাকা ৮৬% নোট। নগদের অভাবে বহু শিল্পই ধাক্কা খেয়েছিল। যার বাইরে ছিল না আবাসনও। অনেকে বলেছিলেন, এই ধাক্কা সাময়িক। আদতে নগদে লেনদেন কমার ফলে এই শিল্পে স্বচ্ছতা আসবে। দাম কমবে প্রায় ৩০%। বাড়বে চাহিদা। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, বাস্তবে তা হয়নি। তলানিতে ঠেকা চাহিদা, অবিক্রীত ফ্ল্যাট, ঋণের বোঝা এবং নতুন পুঁজির অভাব সমস্যাই বাড়িয়েছে আবাসন শিল্পের। পুঁজির অভাবে অসম্পূর্ণ থাকা আবাসনের কাজ শেষ করতে বুধবারই ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।

বিশেষজ্ঞ সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্কের সমীক্ষা বলছে, এ বছরের জুন পর্যন্ত দেশের আটটি বড় শহরে সাড়ে চার লক্ষেরও বেশি ফ্ল্যাট পড়ে রয়েছে। ক্রেতা জোটেনি। নাইট ফ্র্যাঙ্কের প্রধান শিশির বৈজাল মনে করছেন, চাহিদা ও সরবরাহের অসামঞ্জস্য কাটতে এখনও দেরি আছে। নির্মাণ সংস্থাদের সংগঠন ক্রেডাইয়ের অন্যতম কর্তা হর্ষবর্ধন পাটোডিয়া বলেন, ‘‘নোটবন্দি ছাড়াও জিএসটি, নতুন আবাসন আইন ও পুঁজির অভাবে আবাসন শিল্প কিছুতেই সুসময়ে ফিরতে পারছে না। পরিস্থিতি বদলাতে অন্তত এক বছর লাগবে।’’

Advertisement

বণিকসভা ফিকি, পরামর্শদাতা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্ক ও ন্যাশনাল রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের ‘রিয়েল এস্টেট সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স কিউ টু ২০১৯’ সমীক্ষায় অগস্টে উত্তরদাতারা বলেছিলেন, আবাসন শিল্পের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। অনেকে বলছেন, তাঁদের সেই আশঙ্কাকে মান্যতা দিয়েই ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করল কেন্দ্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement