প্রতীকী ছবি।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ফের সুদ বাড়ানোয় কোনও চাপ তৈরি হয়নি বলে দাবি আবাসন শিল্পের। তারা বলছে, তার হার নাগাড়ে ১৯০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির পরেও দেশে মূল্যবৃদ্ধি ৬% সহনসীমার নীচে নামেনি। ফলে সুদ যে আরও বাড়বে, তা একপ্রকার প্রত্যাশিতই ছিল। বুধবার আরও ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে রেপো রেট হল ৬.৩৫%। গত মে মাস থেকে সব মিলিয়ে সুদ বৃদ্ধি ২২৫ বেসিস পয়েন্ট। তবে এর জেরে গৃহঋণের খরচ যে আরও বাড়বে, তা মানছে আবাসন নির্মাতারা। একই সঙ্গে বলছে, স্বল্প মেয়াদে তা যদি বা ফ্ল্যাট-বাড়ি বিক্রির বাজারে কিছু প্রভাব ফেলে, অন্তত এই কারণে দীর্ঘ মেয়াদে সেগুলির চাহিদা ধাক্কা খাওয়া নিয়ে চিন্তিত নয় তারা। বরং বেশিরভাগেরই দাবি, অতিমারির আবহ কাটিয়ে ক্রেতা এবং লগ্নিকারীর কাছে আবাসন ক্ষেত্রের আকর্ষণ এখনও মজবুত।
আবাসন নির্মাতাদের সংগঠন ক্রেডাইয়ের প্রেসিডেন্ট হর্ষবর্ধন পাতোদিয়ার দাবি, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক চড়া মূল্যবৃদ্ধিকে বাগে আনা ও আর্থিক বৃদ্ধিতে ইন্ধন জোগানোর ভারসাম্যের নীতি নিয়েছে। এর আগে করোনাকালে সুদ তলিয়ে গিয়েছিল। ফলে টানা সুদ বৃদ্ধির জেরে ওই হার প্রাক-করোনা পর্বের চেয়ে সামান্যই বেড়েছে। ঋণের খরচ বাড়লেও তা চাহিদাকে ধাক্কা দেওয়ার মতো নয়।
উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারকের চেয়ারম্যান অনুজ পুরীর মতে, যত দিন গৃহঋণে সুদ ১০ শতাংশের নীচেরয়েছে, তত দিন চাহিদায় তার প্রভাব পড়তে পারে সামান্য। সেই সীমা ছাড়ালে কমদামি আবাসনের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। তাঁর দাবি, এখন বরং ক্রেতাদের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে। অতিমারির পরে ক্রেতাদের ফ্ল্যাট কেনার প্রতি জমানো আগ্রহের প্রকাশ ও বিক্রির শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আবাসনে লগ্নির আকর্ষণও যথেষ্ট, দাবি হর্ষের। তাঁর বক্তব্য, কড়াকড়ি ওঠায় আর্থিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। একাংশের বেড়েছে আয়ও। বাজেটে আবাসন শিল্পের অনুকূল নীতি নেওয়া হলে সুদ বৃদ্ধির প্রভাব এড়ানো আরও সহজ হবে।