মঙ্গলবারই আসতে চলেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক পরিচালিত ডিজিটাল মুদ্রা ই-রুপি। ফাইল চিত্র।
ঘোষণা হয়েছিল বাজেটে। সেই মতো মঙ্গলবারই আসতে চলেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক পরিচালিত ডিজিটাল মুদ্রা ই-রুপি। প্রথমে তার পাইলট প্রকল্প আসবে শুধুমাত্র পাইকারি ক্ষেত্রের জন্য। অর্থাৎ, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এর মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবে। ঠিক হয়েছে আপাতত তারা কেনা-বেচা করবে শুধু সরকারি ঋণপত্র। আর সাধারণের ব্যবহারের জন্য ই-রুপি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে আনার পরিকল্পনা রয়েছে আরবিআই-এর।
গত কয়েক বছরে ক্রমাগত ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের ফলে মানুষের লোকসানের মুখে পড়ার বা প্রতারিত হওয়ার খবর আসছিল। যা নিয়ে তদন্তে নেমেছে ইডি-র মতো তদন্তকারী সংস্থা। বার বার সতর্ক করেছে কেন্দ্র এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। সাধারণ ক্রিপ্টোয় লেনদেনে ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে প্রায় ৬০টি দেশে শীর্ষ ব্যাঙ্ক পরিচালিত ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে কাজ চলছে।
এক ঝলকে
• ব্লক-চেন প্রযুক্তিচালিত ডিজিটাল মুদ্রা ‘ই-রুপি’ আনছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
• এই মুদ্রার দু’টি ভাগ— সাধারণের জন্য (খুচরো) এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য (পাইকারি)।
• মঙ্গলবার পাইকারি ক্ষেত্রে কিছু লেনদেনের জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে ই-রুপি আসবে। যেমন, সরকারি ঋণপত্রে ব্যাঙ্কের লগ্নি।
• প্রথম দফায় অংশ নেবে স্টেট ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক এবং এইচএসবিসি।
• এক মাসের মধ্যে কিছু শহরে কিছু ব্যক্তি ও বিপণির মধ্যে সাধারণের ব্যবহারের মুদ্রাটির পরীক্ষামূলক লেনদেন শুরু হবে।
• আরবিআই-এর লক্ষ্য সাধারণ মুদ্রার বৈশিষ্ট্য রেখেই ডিজিটাল মুদ্রার সুবিধাগুলি এতে যোগ করা।
এই পরিস্থিতিতেই গত বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণা ছিল, অনলাইনে ব্যবহারের ডিজিটাল মুদ্রা আনবে একমাত্র রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ব্লক-চেন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তা আনা হবে। কেন্দ্রের দাবি, সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকায় এই ডিজিটাল মুদ্রায় লেনদেনে কমবে ঝুঁকি। এর হাত ধরে আন্তর্জাতিক ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা তৈরিতেও গতি আসবে।
সেই মতো সোমবার আরবিআই জানিয়েছে, ১ নভেম্বর পাইকারি ক্ষেত্রে কিছু লেনদেনের জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে ই-রুপি আনা হবে। প্রথম দফায় এতে অংশ নেবে স্টেট ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক এবং এইচএসবিসি-র মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠান। শীর্ষ ব্যাঙ্ক চায় সাধারণ মুদ্রার বৈশিষ্ট্য রেখেই ডিজিটাল মুদ্রার সুবিধাগুলি এতে যোগ করতে। আর পরবর্তী দফায় এক মাসের মধ্যে দেশের নির্দিষ্ট কিছু শহরে বেছে নেওয়া ব্যক্তি ও বিপণির মধ্যে সাধারণের ব্যবহারের মুদ্রাটির পরীক্ষামূলক লেনদেন শুরু হবে।