ফের সুদ কমবে কি, নজর এখন সে দিকে

একাংশের মতে, অর্থনীতির অবস্থা দেখে একের পর এক পদক্ষেপ করতে কার্যত বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১৩
Share:

মুখোমুখি: নির্মলা ও শক্তিকান্ত। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে। নিজস্ব চিত্র

পরের সপ্তাহে ১ অক্টোবর ফের ঋণনীতি পর্যালোচনায় বসবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট কমিটি। তা প্রকাশ করা হবে ৪ তারিখ। তার আগে মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আলোচনার পরে অবশ্য ফের সুদ ছাঁটাই হবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও কথা বলেননি তিনি। শুধু জানিয়েছেন, বহু দিনের নিয়ম যে, ঋণনীতির আগে গভর্নর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনা করেন অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এ দিনের বৈঠকও সে রকমই। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অর্থনীতির বেহাল অবস্থায় ফের এক দফা সুদ কমাতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বিশেষ করে শক্তিকান্ত যেখানে সেই ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দিয়েছেন।

Advertisement

একাংশের মতে, অর্থনীতির অবস্থা দেখে একের পর এক পদক্ষেপ করতে কার্যত বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। এ বার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাতে আরও গতি আনতে ফের সুদ কমায় কি না, শিল্প মহল-সহ সকলের চোখ এখন সে দিকেই। সম্প্রতি গভর্নরও বলেছেন, অর্থনীতির গতি শ্লথ। সরকারের হাতে এই মুহূর্তে বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার জন্য হাত খুলে খরচের সুযোগ কম। তার উপরে আগামী ১২ মাস মূল্যবৃদ্ধি কম থাকবে বলেই ধারণা। ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে সুযোগ রয়েছে সুদ আরও কমানোর। তবে ঋণনীতিতে সব দিক বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত চারটি ঋণনীতিতে ১১০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছেন শক্তিকান্ত। বরাবরই বলে এসেছেন বৃদ্ধিতে জোর দেওয়ার কথা। গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকেই দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি শ্লথ হওয়ার ইঙ্গিত মিলছিল। যে কারণে সুদ কমানো হয়। তার পর থেকে দেখা গিয়েছে বৃদ্ধি কমার ছবি। ফলে তাতে গতি আনাই এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

তার পরে শুক্রবার কর্পোরেট কর ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। কিছু পণ্যে জিএসটি কমানোর কথাও জানানো হয় সে দিন। এ প্রসঙ্গে আজ গভর্নর বলেন, কেন্দ্রের কর্পোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্ত সাহসী এবং সদর্থক পদক্ষেপ। করের হারের দিক থেকে ভারত এখন লগ্নির গন্তব্য হিসেবে আসিয়ান এবং অন্যান্য এশীয় দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। বিদেশি লগ্নিকারীরাও বেশি করে ভারতের দিকে ঝুঁকবে। একই সঙ্গে দেশীয় সংস্থাগুলির হাতেও বেশি টাকা থাকবে। যা তাদের আরও বেশি করে লগ্নি করতে উৎসাহ দেবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement