রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। ফাইল ছবি।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পুরনো পেনশন প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নিয়ে সম্প্রতি সাবধান করেছেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ডি সুব্বারাও। এ বার সতর্কবার্তা এল শীর্ষ ব্যাঙ্কের আর এক প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের তরফে। পুরনো ব্যবস্থায় ফেরার নীতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটা হলে বিপুল আর্থিক বোঝা বইতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে। রাজকোষে চাপ পড়ায় তৈরি হবে সমস্যা। বরং পেনশনভোগীদের স্বার্থে কম খরচের কোনও বিকল্প সুবিধার কথা ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এর আগে সুব্বারাওয়ের দাবি ছিল, অতীতের প্রকল্প ফিরলে শুধু সরকারি কর্মীরা উপকৃত হবেন। কিন্তু স্বার্থহানি ঘটবে বহু সাধারণ মানুষের। যাঁদের অনেকের জন্যই তেমন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
রাজন বলেছেন, আগের নিয়মে সরকারি কর্মীরা অবসরের সময় যে পেনশন পান, পরে তা বাড়ে। বর্তমান বেতনের ভিত্তিতে সংশোধনও করা হয়। তাই বিপুল অর্থ দিতে হয় সরকারকে। ভবিষ্যতের সেই দায়ের কথা রাজ্যগুলির ভেবে দেখা উচিত। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভাবতে হবে, বর্তমান সমাজে সরকারি কর্মীদেরই সর্বাধিক আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন কি না।’’
হালে রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব-সহ কিছু রাজ্য এনপিএস ছেড়ে পুরনো পেনশন প্রকল্প চালুর নীতি নিয়েছে। কেন্দ্রও শর্তসাপেক্ষে তাদের কিছু কর্মীকে নতুন পেনশন ব্যবস্থা থেকে পুরনোতে ফেরার এককালীন সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছে। সেই প্রেক্ষিতে রাজন বা সুব্বারাওয়ের মতো অর্থনীতিবিদদের আপত্তি তাৎপর্যপূর্ণ, মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আরবিআই-ও বলেছিল, পুরনো ব্যবস্থায় ফিরলে রাজ্যগুলির ঋণের বোঝা বাড়বে। যা ঝুঁকির।
পুরনো পেনশন প্রকল্পে সরকারই বাজেট বরাদ্দ থেকে পেনশন দিত। ২০০৩ সালে এনডিএ সরকারের আমলে তা বন্ধ হয়। ২০০৪-এর ১ এপ্রিল থেকে আসে এনপিএস। যা সরকারের আর্থিক বোঝা কমায়। প্রথমে এটি শুধু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। পরে রাজ্যগুলিও তা অনুসরণ করে।