Reserve bank of India

RBI : সতর্ক রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক, পূর্বাভাস কমাল ফিচ

বুধবার ঋণনীতি ঘোষণার পরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, করোনার পরে অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

বৃদ্ধির চাকায় গতি বাড়াতে স্থিতাবস্থা, নাকি মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে সুদ বৃদ্ধি? ঋণনীতিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক কোন কৌশল নেবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশাকে মর্যাদা দিয়ে সুদের হার অপরিবর্তিতই রাখল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এই নিয়ে টানা ন’বার। সেই সঙ্গে চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির পূর্বাভাস (৯.৫%) এক রেখেও তারা জানিয়ে দিল, অতিমারির পরে জাতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ঠিকই, কিন্তু তা এখনও যথেষ্ট শক্তপোক্ত হয়নি। বিশ্ব অর্থনীতির বিভিন্ন বিরূপ ঘটনার প্রভাব থেকে বার হয়ে আসার শক্তি এখনও সঞ্চয় করা যায়নি। ফলে ঝুঁকি কিছুটা থেকেই যাচ্ছে। আর করোনার ওমিক্রন স্ট্রেনকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে বৃদ্ধির পূর্বাভাস সরাসরি ছাঁটাই করেছে মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস।

Advertisement

রেপো রেট (যে সুদে স্বল্প মেয়াদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণ দেয়) ও রিভার্স রেপো রেট (যে সুদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের থেকে শীর্ষ ব্যাঙ্ক স্বল্প মেয়াদে ঋণ নেয়) এই মুহূর্তে ঐতিহাসিক নীচে। তবে বাজার থেকে অতিরিক্ত নগদের একাংশ তুলতে কিছু কৌশলও নেওয়া হয়েছে। ঋণনীতিকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যাঙ্কিং, আবাসন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, মূল্যবৃদ্ধি এ ভাবে মাথা তুলে থাকলে আগামী বছর সুদ বৃদ্ধি কার্যত অবশ্যম্ভাবী।

বুধবার ঋণনীতি ঘোষণার পরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, করোনার পরে অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে। বাড়ছে চাহিদা ও বিক্রি। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনীতিতে কিছুটা শিথিলতাও রয়ে গিয়েছে। মানুষের কেনাকাটা এখনও করোনার আগের অবস্থায় পৌঁছতে পারেনি। অর্থনীতিকে সামগ্রিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে এবং দীর্ঘ মেয়াদে তা বজায় রাখতে হলে এখনও নীতির সহায়তা প্রয়োজন।’’ তিনি জানান, কোনও কোনও ক্ষেত্রে চাহিদা এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে যে, সংস্থাগুলি তাদের পূর্ণ পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনের ঝুঁকি নিতে পারছে না। কমছে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া। এই সব কারণেই বৃদ্ধিকে সহায়তা দিতে সুদ স্থির রাখতে সহমত হয়েছেন ঋণনীতি কমিটির ছয় সদস্য। অন্য দিকে ফিচ বলছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও তার গতি প্রত্যাশার তুলনায় কম। দেশের এক-তৃতীয়াংশের কম মানুষের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে। ফলে ওমিক্রন সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৮.৭% থেকে কমিয়ে ৮.৪% করেছে তারা।

Advertisement

পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিবর্তনশীল রিভার্স রেপো রেটে ব্যাঙ্কের হাতে থাকা অতিরিক্ত নগদ তুলে নেওয়া আরও বাড়ানোর কথাও জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement