আদালতে তোলা হচ্ছে রাণা কপূরকে।—ছবি পিটআই।
আদালতে তোলা হয়েছিল রাণা কপূরকে। শুক্রবার ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সিইও-র পক্ষে তাঁর আইনজীবী আব্বাদ পন্ডার আর্জি ছিল, জেলে তাঁর মক্কেল করোনাভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে। তবে শেষমেষ বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই যেতে হল রাণাকে। ২ এপ্রিল পর্যন্ত। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে যাঁকে এ মাসের গোড়াতেই গ্রেফতার করেছে ইডি। এই তদন্তকারী সংস্থা অবশ্য আজ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রাখার মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানায়নি।
এ দিন বিচারকের কাছে রাণা জানান, গত কয়েক বছর তিনি হাঁপানিতে ভুগছেন। তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম। ভুগছেন চরম অবসাদে। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর আইনজীবী বলেন, খুব দ্রুত করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। জেলে থাকলে রাণার সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। তাঁকে বড় কোনও কুঠুরিতে রাখার আবেদনও জানান পন্ডা। আদালত নির্দেশ দেয় হেফাজতে থাকাকালীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই ওষুধ-সহ সঠিক ভাবে দেখাশোনা করেন রাণার।
ইডি-র অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থাকে ঋণ পাইয়ে দিয়ে রাণা, তাঁর পরিবার ও অন্যরা বিপুল আর্থিক সুবিধা নিয়েছে। সূত্রের খবর, রাণা ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্তা থাকাকালীন প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়। যার ২০,০০০ কোটি অনাদায়ি ঋণে পরিণত হয়েছে।
এ দিকে, ইয়েস ব্যাঙ্ক পর্ষদে অনন্তনারায়ণ গোপালকৃষ্ণন এবং আর গাঁধীকে দু’বছরের জন্য অতিরিক্ত ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২৬ মার্চ থেকে নিয়োগ কার্যকর হবে। গাঁধী আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন।