—ফাইল চিত্র।
নির্দিষ্ট কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ, অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) সামলাতে ব্যাড ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রের আর্থিক পরিষেবা দফতরের ভূমিকা কমানো— দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা পোক্ত করতে এমন কিছু পদক্ষেপের পক্ষেই সওয়াল করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যের সঙ্গে লেখা এক পেপারে তাঁদের বার্তা, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে উন্নতি নিশ্চিত করার পথ সংস্কার। নতুন ব্যাঙ্ককে লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়াও সর্বক্ষণ চালু রাখা উচিত।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ঘাড়ে বিপুল এনপিএ-র বোঝা। বেসরকারি ব্যাঙ্কের থেকে অনেক বেশি। করোনায় সেই বোঝা আরও বাড়ার আশঙ্কা। তার উপরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পরিচালন ব্যবস্থাও বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষিতে ভারতের ব্যাঙ্কিং শিল্পে সংস্কার নিয়ে ওই পেপারে বলা হয়েছে, বাছাই করা কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণে আর্থিক ও প্রযুক্তি, দু’ক্ষেত্রেই দক্ষ লগ্নিকারীকে আনতে হবে। তবে সেই পথে হাঁটার জন্য সরকার প্রথমে ব্যাঙ্কগুলিতে নিজের অংশীদারি ৫০ শতাংশের নীচে নামাক।
রাজনের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ বিলিতে অনেক সময় সরকারের প্রভাব থাকে। তাই অর্থ মন্ত্রকের আর্থিক পরিষেবা দফতরের ভূমিকা কমানো জরুরি। তা হলেই ব্যাঙ্কের পর্ষদ স্বাধীন ভাবে কাজ করছে, এই বার্তা যাবে। ‘ব্যাড ব্যাঙ্ক’-এর পক্ষে সওয়াল করে রাজন বলেছেন, এমন এক আর্থিক সংস্থা এনপিএ কিনে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির হিসেবের খাতা পরিষ্কার করবে। তার পরে সেগুলি বেচে উদ্ধার করবে অনাদায়ি ঋণ।