রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কলকাতা আ়ঞ্চলিক দফতরের ভাঁড়ারে ঠিক কত নগদ রয়েছে, এ বার প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে।
এই দফতরের ২১৮টি ‘চেস্ট’-এ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কত নগদ জমা আছে, সে ব্যাপারে আরবিআইয়ের কাছ থেকে কিছু জানা যায়নি। তবে শীর্ষ ব্যাঙ্ক এর আগে দাবি করেছিল ব্যাঙ্কগুলিতে নগদের জোগানে কোনও খামতি নেই। কর্মী সংগঠন ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (বেফি)-র অবশ্য দাবি: নোট বাতিলের পরে মাত্র দু’বার টাকা এসেছিল ওই অফিসে। এ দিন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নতুন নগদ আসার কোনও খবর নেই। নতুন ৫০০ টাকা কবে আসবে, হদিশ নেই তারও।
বেফি-র সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাসের বক্তব্য, বাজার থেকে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে তার সমমূল্যের ১০০ টাকার নোট প্রায় ২০ গুণ বেশি বাজারে পৌঁছনো দরকার। কারণ এত দিন চালু টাকার মোট মূল্যের ৮৬ শতাংশই ছিল ওই বাতিল নোট। তাদের অভিযোগ, বাতিল নোট বদল এবং টাকা তোলার যা চাহিদা, তার সঙ্গে জোগানের বিস্তর ফারাক রয়েছে।
বস্তুত, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার হিসেবে গত কয়েক দিনে গড়ে প্রতিদিন তাদের ব্যাঙ্ক থেকেই শুধু বাতিল নোট বদল হয়েছে ১২০ কোটি টাকার। এবং ১০ তারিখ থেকে দৈনিক তোলা হয়েছে গড়ে ৩০০ কোটি টাকা।
বেফি-র দাবি, শালবনির ছাপাখানা থেকে গত ৯ ও ১৫ তারিখে দু’বার মোট ৭৩২০ কোটি টাকা এসেছিল কলকাতা দফতরে। ৭ তারিখ পর্যন্ত অবশ্য মোট ১৪৩৬টি বাক্সে কিছু টাকা আগেই রাখা ছিল। পরে সেগুলিও বণ্টন করা হয়।
বেফি-র দাবি, কলকাতা আঞ্চলিক দফতর ৯ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত ১০০ টাকা ও ২০০০ টাকা মিলিয়ে মোট ৯২০০ কোটি টাকারও বেশি পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আন্দামান-নিকোবর, আগরতলা, আইজল ও ইম্ফলের বিভিন্ন জেলায় বণ্টন করেছে।
বেফি সূত্রে দাবি, আগে যত বাক্স টাকা আসত, তার মধ্যে ৮০ শতাংশে থাকত ১০ ও ১০০ টাকার ছোট নোট। বাকি ৫০০ ও ১০০০-এর বড় নোট। রোজ যে টাকা আসত তা নয়। কিন্তু টাকা তোলার হিড়িকও তেমন থাকত না।
প্রসঙ্গত, নিয়ম অনুযায়ী, আরবিআই-এর দফতরে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের টাকা রাখার জন্য ‘চেস্ট’ থাকে। কলকাতা দফতরে রয়েছে ২১৮টি। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২০০টি। বাকিগুলি সিকিম ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি রাজ্যের ব্যাঙ্কের জন্য।