Calcutta Telephones

ক্যাল-টেলে অচলাবস্থা কাটাতে টেলি-সচিবের হস্তক্ষেপ দাবি

সময় বেঁধে লাইন মেরামতি-সহ বি‌ভিন্ন কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের পদ্ধতি ঢেলে সাজছে বিএসএনএল।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২০ ০২:১৭
Share:

ক্যালকাটা টেলিফোন্সের (ক্যাল-টেল) ‘অচলাবস্থা’ নিয়ে এ বার টেলিকম সচিব অংশু প্রকাশকে হস্তক্ষেপের আর্জি জানালেন বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ার। তাঁর দাবি, ঠিকাকর্মীদের আন্দোলনের জেরে সংস্থার পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি ও টেলিকম দফতরের অতিরিক্ত সচিব রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে চিঠি দিলেও পুলিস-প্রশাসন থেকে সাহায্য মেলেনি। চিঠিতে ক্যাল-টেলের পরিষেবা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা জানিয়েছেন পুরওয়ার।

Advertisement

সময় বেঁধে লাইন মেরামতি-সহ বি‌ভিন্ন কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের পদ্ধতি ঢেলে সাজছে বিএসএনএল। ঠিকাকর্মী ইউনিয়নগুলির দাবি, তাঁদের এক বছরেরও বেশি বেতন বকেয়া। নতুন ব্যবস্থায় কর্মী সঙ্কোচন হবে। কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, ঠিকাদারেরা কর্মীদের বেতনের বিল দেননি। প্রয়োজনের চেয়ে এখন ঠিকাকর্মীর সংখ্যাও অনেক বেশি। তবে নতুন নিয়মে এখনকার অনেক কর্মীই কাজ পাবেন। কিন্তু ঠিকাকর্মীদের একাংশ স্থায়ী কর্মী-অফিসারদের ঘেরাও করে নিগ্রহ করছেন। অনেক এক্সচেঞ্জও বন্ধ করেছেন। বিপুল সংখ্যক লাইন খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে।

টেলিকম সচিবকে লেখা চিঠিতে এই সব কথা উল্লেখ করে পুরওয়ারের দাবি, পুলিস ও রাজ্যের শীর্ষ স্তরে সব জানিয়েও সাহায্য মিলছে না। তাই পরিষেবা পুরোপুরি ভেঙে পড়া ঠেকাতে সচিবের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

বিএসএনএলের আগের চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করলেও পুলিশ সূত্রের অবশ্য দাবি, এটি সংস্থার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তা-ও শ্রম বিরোধকে কেন্দ্র করে। তাই এতে হস্তক্ষেপ করা পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। তাতে আবার ভিন্ন বার্তা যেতে পারে।

বিএসএনএলের সূত্রের আবার বক্তব্য, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট এবং সরকারি পরিষেবা বা সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দিলে তা রক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় পুলিস-প্রশাসনেরই। এ ছাড়া শ্রম সংক্রান্ত বিষয়টি শ্রম দফতরকে জানানো হয়েছে।

ক্যাল-টেলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল শনিবার জানান, এই অচলাবস্থা চললে ল্যান্ডলাইন, ব্রডব্যান্ড, লিজ় লাইনের মতো ‘সিএফএ’ পরিষেবাই বন্ধ হয়ে যাবে। তখন এই সার্কলের কর্মী-অফিসারদের অন্য সার্কলে বদলি করা হতে পারে। নতুন নিয়মে যে সব ঠিকাকর্মী কাজ পেতেন, তাঁরাও তা পাবেন না। তবে নতুন নিয়ম চালুর পরে পুরনো ঠিকাদারেরা বিল দিলে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে তাঁর দাবি। টাকা বাকি থাকলে, তা মেটানোর আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement