—প্রতীকী চিত্র।
গত বছর জুলাই এবং অগস্টে অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনো এবং ঘোড়দৌড়ের উপরে জিএসটি বসানোর জন্য আইন সংশোধন করা হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, ওই সমস্ত খেলায় জিএসটির সর্বোচ্চ হার (২৮%) ধার্য হবে। সেই আইন রূপায়ণের পর থেকে জিএসটি না মেটানোর অভিযোগে বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে ৭০টি নোটিস জারি হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট শিল্প মহলে। আগামী ২২ জুন জিএসটি পরিষদের বৈঠকে ওই নোটিসের আইনি বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে। আলোচনা সূচিতে জিএসটি কাঠামোর সংশোধন, কর্পোরেট গ্যারান্টি এবং স্পেকট্রাম ফি-এর উপরে করের মতো বিষয় থাকতে পারে বলে সূত্রের দাবি।
অনলাইন গেমিং সংস্থাগুলির সংগঠন স্কিল অনলাইন গেমস ইনস্টিটিউটের (সোগি) অভিযোগ, তাদের উপরে জিএসটি বসানো হচ্ছে বাজির সামগ্রিক অঙ্কের উপরে। সোগির প্রেসিডেন্ট অমৃত কিরণ সিংহের বক্তব্য, বাজির টাকা তাঁদের আয় নয়। ফলে পুরো টাকার উপরে কর চাপানো অযৌক্তিক ও বেআইনি।
কর্পোরেট সংস্থাগুলি তাদের সহযোগী সংস্থাগুলির নেওয়া ঋণে যে গ্যারান্টি দেয়, তার উপর বসানো জিএসটির হার নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। এই কর্পোরেট গ্যারান্টির উপরে জিএসটি নিয়ে পরোক্ষ কর পর্ষদের বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে মামলা হয়েছে। তাতে বিজ্ঞপ্তির উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। তবে বৈঠকে জিএসটি কাঠামো সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে সংশয়ী একাংশ। কারণ, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খন্নাকে আহ্বায়ক করে গত বছর সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি এখনও কোনও বৈঠক করতে পারেনি।