প্রতীকী ছবি।
করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু মিছিলের মধ্যেই মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে আজ আরও দামি হল তেল। কলকাতায় পেট্রল লিটার পিছু ফের ২৫ পয়সা চড়ে হল ৯৩.৯৭ টাকা। আর ডিজেল পৌঁছল ৮৭.৭৪ টাকায়। ২৮ পয়সা বেশি। বৃহস্পতিবারই মহারাষ্ট্রের ঠানে-তে পেট্রলের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। শুক্রবার মোদী সরকারের উদ্দেশে কটাক্ষ হেনে এনসিপি সারা শহরে বিলবোর্ড ঝুলিয়েছে জ্বালানিটির সেঞ্চুরি দাম ‘উদ্যাপন’ করেছে। কেন্দ্রের সমালোচনা করে আমজনতার প্রতি তাদের বার্তা, দামের এমন বৃদ্ধিই কেন্দ্রের ‘অচ্ছে দিনের’ ভাবনা।
সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই আশঙ্কা, এ ভাবে জ্বালানির খরচ বৃদ্ধি পরিবহণের খরচ আরও বাড়াবে। যা ঠেলে তুলবে পণ্যের দামকে। সেই মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় আরও নাকাল হবেন মানুষ। অতিমারি যাঁদের রুজি কেড়েছে, তাঁদের অবস্থা হবে আরও করুণ। সম্প্রতি স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্টও বলেছে, চিকিৎসার পাশাপাশি তেলের খরচের বোঝা মূল্যবৃদ্ধিকে চড়া করবে। ফলে অত্যাবশ্যক নয় এমন পণ্যে খরচ কমাবেন দেশবাসী। যা চাহিদাকে আহত করে ক্ষতি করবে অর্থনীতির। সুরাহার একমাত্র পথ তেলে কর কমানো। যদিও মোদী সরকার উৎপাদন শুল্ক ছাঁটা নিয়ে মুখে কুলুপ।
কিছু দিন আগে ভোটের সময় তেলের দর নামমাত্র কমিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। কিন্তু ভোটের ফল বেরনোর পরেই টানা বাড়ছে। কেন্দ্রের দাবি, বিশ্ব বাজারে
অশোধিত তেল চড়া। যদিও মাস-খানেকের মধ্যে তা নামার হিসেব দেখিয়ে একাংশ বলছেন, এই সময়ের কথা ক্রেতারা জানতে পারেননি।