ফাইল চিত্র।
সোনার আমদানি কমাতে ১০.৭৫% থেকে শুল্ক বাড়িয়ে ১৫% করল কেন্দ্র। ফলে ৩% জিএসটি জুড়ে তাতে মোট কর দাঁড়াল ১৮%। আর এই হিসাবেই কাঁপুনি ধরল সোনা-বাজারে। এক দিনে কলকাতায় ১০ গ্রাম পাকা সোনা ১১০০ টাকা বেড়ে হল ৫২,৬০০ টাকা। জিএসটি ধরে ৫৪,১৭৮ টাকা। আশঙ্কা, দাম আরও বাড়বে। যা হালে একটু কমছিল। বহু ক্রেতা আরও একটু কমার অপেক্ষায় ছিলেন। এ দিন কার্যত মাথায় হাত তাঁদের। উদ্বিগ্ন গয়না ব্যবসায়ীরাও। বিশেষত ছোট দোকানগুলি। স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি সমর দে বলেন, ‘‘সোনার বাজার সবে চাঙ্গা হচ্ছে। শুল্ক বৃদ্ধি তার দাম বাড়িয়ে গয়নারবিক্রিও কমাবে।’’
কেন্দ্রের দাবি, সোনার বিপুল আমদানিতে রাশ টানা এবং বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ন্ত্রণই এর উদ্দেশ্য। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, আমদানি বাড়লে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারে চাপ বাড়ে। তাই তাতে নিরুৎসাহ করা উচিত। আমদানি যদি করতেই হয়, বেশি রাজস্ব দিক আমদানিকারী।
তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সোনার চোরাচালান বৃদ্ধির আশঙ্কা জেজে গোল্ড হাউসের ডিরেক্টর হর্ষদ আজমেরা, ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দীনেশ কাবরা, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের কর্তা সোমসুন্দরমের। অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আশিস পেথে বলেন, ‘‘সরকারের সঙ্গে কথা বলব।’’ কাবরার দাবি, দামের বোঝা আখেরে বইবেন ক্রেতাই। আর গয়না বিক্রি কমলে সমস্যায় পড়বেন কারিগরেরা, সতর্কবার্তা পশ্চিমবঙ্গ স্বর্ণশিল্পি সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দারের।