প্রতীকী ছবি।
গত মাসে এক নাগাড়ে বেশ কিছু দিন পেট্রল-ডিজেলের দাম বিপুল বাড়ায় দেশ জুড়ে দানা বাঁধছিল বিক্ষোভ। বিশেষত দিল্লিতে ডিজেল নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলায়। সরকারকে বিঁধতে আসরে নেমে পড়ে বিরোধীরা। তার পরেই জ্বালানি কিছুটা থমকায়। আট দিন এক জায়গায় আটকে থাকার পরে মঙ্গলবার ফের বাড়ল ডিজেল। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে লিটারে ২৫ পয়সা। দিল্লিতে তৈরি হল নতুন নজির। জ্বালানিটির দর যথেষ্ট চড়া অন্যান্য শহরেও।
সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, একেই বহু মানুষের আর্থিক অবস্থা বেহাল। এ বার দর না-কমলে, পরিবহণের খরচ বাড়ার মাসুল গুনতে হবে তাঁদেরই। পণ্য সরবরাহের খরচ বাড়ায় চড়বে জিনিসের দাম। যাতায়াতেও টাকা লাগতে পারে বেশি।
তেলের দৌড়
• মঙ্গলবার ফের বাড়ল ডিজেলের দর। পেট্রলের দাম একই।
• দিল্লিতে লিটার পিছু ডিজেল ৮০.৭৮ টাকা। নতুন রেকর্ড।
• ৮২ দিন থমকে থাকার পরে ৭ জুন থেকে বাড়তে থাকে পেট্রল-ডিজেল। কলকাতায় আইওসির পাম্পে তা দামি হয় যথাক্রমে ৮.৮০ টাকা এবং ১০.২৭ টাকা।
• এই দফায় ২৯ জুন থেকে ফের দাম থমকে ছিল। আজ, বুধবারও দাম একই।
গ্রাহকদের ক্ষোভ, কেন্দ্র বা তেল সংস্থা, সাধারণ মানুষের অসুবিধা তোয়াক্কা করছে না কেউই। টানা দাম বাড়ানোয় বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে, এখন কিছু দিন থেমে থেমে, সইয়ে সইয়ে বাড়ানো হচ্ছে। তেল সংস্থা সূত্রের ইঙ্গিত, আজ, বুধবার দাম বাড়ছে না। কলকাতায় লিটার পিছু পেট্রল ও ডিজেল বিক্রি হবে যথাক্রমে ৮২.১০ এবং ৭৫.৮৯ টাকায়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে লগ্নির নির্দেশ, আশঙ্কা তবুও
আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেল ও পেট্রল-ডিজেলের দর যখন তলানিতে নেমেছিল, তখন দেশে তেলে উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। ফলে দাম কমেনি। উল্টে লকডাউনে বিক্রি কম থাকায় ক্ষতি গুনতে হয় তেল সংস্থাগুলিকে। যা এ বার সুদে-আসলে উসুল করছে তারা। এ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। সকলকে অবাক করে সম্প্রতি তেলমন্ত্রীর যুক্তি, শুল্কের অর্থেই গরিবরা সাহায্য পেয়েছেন।