চেক ভাঙানো নিয়ে হয়রানি কমানোর ব্যবস্থা সব ডাকঘরে

ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, এত দিন ওই ১৫টি ডাকঘর ও তাদের সাব-পোস্ট অফিসে চেক জমা পড়লে, তা সংশ্লিষ্ট এলাকার ‘নোডাল’ (কিছু প্রধান ডাকঘর) ডাকঘরে পাঠাতে হত।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী ও দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৯ ০১:৩২
Share:

বিভিন্ন প্রকল্পে লগ্নির জন্য চেক দ্রুত ভাঙাতে রাজ্যের সবক’টি প্রধান ডাকঘরে চেক ট্রাঙ্কেশন সিস্টেম বা সিটিএস চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছিল বছর পাঁচেক আগেই। কিন্তু ১৫টিতে সেই সুবিধা পৌঁছয়নি। ফলে চেক ভাঙাতে দেরি হওয়ায় ভুগতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন ওই সব প্রধান ডাকঘর ও তাদের অধীনস্থ বিভিন্ন ছোট ডাকঘরের গ্রাহকেরা। অবশেষে সেগুলিতেও (পোর্ট ব্লেয়ার বাদে) সিটিএস চালু হওয়ায় এ বার হয়রানি কমবে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।

Advertisement

ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, এত দিন ওই ১৫টি ডাকঘর ও তাদের সাব-পোস্ট অফিসে চেক জমা পড়লে, তা সংশ্লিষ্ট এলাকার ‘নোডাল’ (কিছু প্রধান ডাকঘর) ডাকঘরে পাঠাতে হত। সেখান থেকে সায়ের জন্য চেকের ছবি যেত চেন্নাইয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নোডাল কেন্দ্রে। অথচ সব প্রধান ডাকঘরে সিটিএস থাকলে তারাই সরাসরি তা চেন্নাইয়ে পাঠাতে পারে।

কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের রাজ্য দফতর সূত্রে খবর, হাওড়ার জনৈক গ্রাহক চেক ভাঙাতে দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগার অভিযোগ তোলায় ডাক বিভাগের (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল) চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য বৈঠক ডাকেন। তাঁর দাবি, এ বার বাকি ডাকঘরগুলিতেও ওই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ফলে সর্বত্রই অনেক কম সময়ে চেক ভাঙাতে পারবেন গ্রাহক।

Advertisement

সিটিএস কী
• বৈদ্যুতিন ছবির ভিত্তিতে দ্রুত চেক ভাঙানোর আধুনিক ব্যবস্থা।
সমস্যা কোথায়
• চেক ভাঙানোর কথা দিন তিনেকে। অভিযোগ ছিল, কলকাতা-সহ বহু ডাকঘরে লাগে ১০-১২ দিন।
• ২০১৪ সাল থেকে প্রধান ডাকঘরগুলিতে সিটিএস চালু হয়। কিন্তু ৪৭টির মধ্যে বাদ পড়ে ১৫টি।
• অভিযোগ, চেক ভাঙাতে হয়রানি হচ্ছে গ্রাহকদের।
অবশেষে
• সিটিএস চালু হয়েছে হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, মাল, কাটোয়া, বালুরঘাট, ব্যারাকপুর, বেলঘরিয়া, ডায়মন্ডহারবার, গ্যাংটক, বারুইপুর, বারাসত, বসিরহাট, বেলেঘাটার প্রধান ডাকঘরে।
• সিউড়িতেও হবে শীঘ্রই।
• পোর্ট ব্লেয়ারে এখনই চালু হচ্ছে না টেলি সমস্যায়।

সূত্রের খবর, এর ফলে বেলেঘাটা বা পার্ক স্ট্রিটের মতো প্রধান ডাকঘর বা সেগুলির সাব-পোস্ট অফিসে জমা পড়া চেক সরাসরি চেন্নাই থেকে দ্রুত ভাঙানো যাবে। আর তা জিপিও-র কাছে পাঠাতে হবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement