খোলা নেই পার্ক স্ট্রিটের হেড পোস্ট অফিস। বুধবার কলকাতায়। নিজস্ব চিত্র
ডাকঘরের দরজা বন্ধ। তালা ঝোলানো। কোথাও কিছু কর্মী বাইরে বসে। কোথাও সব শুনশান। বুধবার কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা দেশ জোড়া সাধারণ ধর্মঘটে এই ছহি দেখা গিয়েছে কলকাতার প্রায় সর্বত্র ডাকঘরে। ধর্মঘটী সংগঠনগুলির দাবি, জেলাগুলিতেও ছবিটা ছিল এমনই। ফলে সারা রাজ্যে পরিষেবা ধাক্কা খেয়েছে।
ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের সদর দফতর, যোগাযোগ ভবনের ডাকঘরও বন্ধ ছিল।সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, ডাক পরিষেবা প্রায় বন্ধ থাকায় নাকাল হয়েছেন গ্রাহক। অনেকেই জরুরি চিঠি পাঠাতে পারেননি। আন্দোলনকারী কর্মীদের অবশ্য দাবি, প্রায় দু’মাস ধরে এই ধর্মঘটের প্রচার করে ডাকঘর বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। ফলে গ্রাহকদের কাছে আগাম সেই তথ্য থাকায় তাঁরা সমস্যায় পড়েননি।
ধর্মঘটে সামিল হয় ডাক বিভাগের কর্মীদের দুই সংগঠন— এনএফটিই এবং এফএনটিও। তাদের দাবি, এই সার্কলের আওতাভুক্ত পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও আন্দামানের প্রায় ৯৮% ডাকঘরই বন্ধ ছিল।
কলকাতা জিপিও সূত্রের খবর, সেখানে সব ধরনের কর্মী মিলিয়ে গড় হাজিরা ছিল ৩৫%। কর্মীর অভাবে এ দিন চিঠি বা পার্সেল বিলি করা যায়নি। অবশ্য জিপিও কর্তৃপক্ষের দাবি, সেখানকার সব কাউন্টার খোলা ছিল। কিন্তু অন্য দিনের চেয়ে গ্রাহক সংখ্যা কম থাকায় পরিষেবা দিতে সমস্যা হয়নি। তবে কিছু কাউন্টারে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, শহরের অন্য ডাকঘর বন্ধ পেয়ে একাংশ ভিড় করেছেন জিপিও-তে।
অধিকাংশ ডাকঘর বন্ধ থাকলেও সব ডাক অফিস খোলা ছিল। কাজও হয়েছে। কর্মীদের হাজিরা কোথাও কম থাকায় পরিষেবা আংশিক ব্যাহত হয়েছে, মানছেন ডাক বিভাগ কর্তৃপক্ষ।