শুনশান: বন্ধ চা বাগান।
পেশক, ধোত্রে ও কলেজভেলি— এ বার দার্জিলিঙে অ্যালকেমিস্ট গোষ্ঠীর অধীন এই তিন চা বাগানে অচলাবস্থার অভিযোগ উঠল। আগামী দিনে সঙ্কট আরও বাড়ার আশঙ্কায় কাঁটা বাগানগুলির শ্রমিকদের নিয়ে তৈরি চা বাগান সংগ্রাম সমিতির সদস্যরা বুধবারই দেখা করলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে। দাবি করলেন, সমস্যার সমাধানে রাজ্যের হস্তক্ষেপ।
শ্রমিকদের অভিযোগ, বাগান তিনটির মধ্যে পেশক ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছে। ধুঁকছে বাকি দুটিও। চা বাগান সংগ্রাম সমিতির যুগ্ম-কোঅর্ডিনেটর শমীক চক্রবর্তী ও অন্যান্যদের দাবি, তিন বাগান মিলিয়ে আড়াই হাজারেরও বেশি শ্রমিকের ভবিষ্যৎ সঙ্কটে। যদিও এ নিয়ে দিল্লিতে অ্যালকেমিস্টের দফতরে যোগাযোগ করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সংস্থার মুখপাত্রকে ই-মেল করা হলেও রাত পর্যন্ত মেলেনি জবাব।
সংগঠনের অভিযোগ, পেশক বন্ধ। আর ধোত্রে ও কলেজভেলি বাগানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ না হওয়ায় উৎপাদন কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন জমে গিয়েছে প্রায় ২ কোটি। বন্ধ অন্যান্য সুবিধাও। এমনকী ওই বাগানগুলি অন্য একটি সংস্থাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও মৌখিক ভাবে শোনা গিয়েছে বলে দাবি। তাদের অভিযোগ, এ সব নিয়ে জেলার শ্রম দফতরে বহুবার অভিযোগ জানানো হলেও সুরাহা হয়নি। প্রতিনিয়ত অনিশ্চয়তা বাড়ছে।