নির্মলা সীতারাম। —ফাইল চিত্র
হোঁচট খাচ্ছে লগ্নি। তার জোরালো প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির উপর। দাওয়াই হিসাবে প্রাথমিক ভাবে কর্পোরেট করে বিপুল ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক ও নীতি আয়োগ সূত্রে খবর, অর্থনীতির হাল ফেরাতে সেই কর সংস্কারের পথেই ভরসা রাখছে মোদী সরকার।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর, লং টার্ম ক্যাপিটাল গেনস ট্যাক্স (এলটিসিজি) বা শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের লভ্যাংশের উপর চাপানো কর, সিকিউরিটি ট্রানজাকশন ট্যাক্স (এসটিটি) বা স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার কেনাবেচার উপরে সরকার যে কর নেয় এবং ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স (ডিডিটি) বা কোনও সংস্থার লগ্নিকারীদের লভ্যাংশ দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার যে কর চাপায় সেগুলি পুনর্বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মনে করা হচ্ছে, ওই বাজেটে এই কর সংস্কারের প্রভাব পড়তে পারে। মন্ত্রক সূত্রে খবর, এক ঝাঁক আমলাকে কর ব্যবস্থা পর্যালোচনা করার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। নভেম্বর মাসের শেষেই তাঁরা সেই কাজ গুটিয়ে আনবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আর্থিক মন্দা ঝেড়ে ফেলে অর্থনীতিতে গতি আনার জন্য গত তিন মাসে একাধিক ‘সাহসী’ পদক্ষেপ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে ঝাঁকুনি দিতে কর্পোরেট করে বিপুল ছাড়ের ঘোষণা করেছেন তিনি। বাজারে বিনিয়োগ টানা ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্যই এই পদক্ষেপ বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত কয়েক মাসে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা এবং উদ্বেগের কথা শুনিয়েছিল বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি। কিন্তু, কর্পোরেট করে ছাড়ের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে বাহবাও কুড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের থেকে মুক্তি চেয়ে তুমুল বিক্ষোভ অধিকৃত কাশ্মীরে, চলছে সেনা পীড়ন, বাইরে এল ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: ৫ বছর আমিই মুখ্যমন্ত্রী থাকব, বলে দিলেন ফডণবীস, সেনা অনড়ই
এই মুহূর্তে দক্ষিণ-এশিয়ার সমস্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম কর্পোরেট কর ভারতে। ওই সিদ্ধান্তের পর বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ বেশ খানিকটা বেড়েছে, তা বর্তমানে রেকর্ড ছোঁয়ার পথে বলেই জানা গিয়েছে। পেনশন ও বিমার টাকাও শেয়ার বাজারে খাটানো যায় কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পর্যালোচনা শেষ হলে ডিডিটি কমিয়ে আনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।