প্রতীকী ছবি।
ভুয়ো বিল জমা দিয়ে কাঁচামাল বাবদ আগে মেটানো করের টাকা (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বা আইটিসি) দাবির বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন সরকার। এই ধরনের চক্রগুলিকে পাকড়াও করার ব্যাপারে তৎপরও হয়েছে তারা। কিন্তু এ বার জিএসটি পরিষদের লক্ষ্য, নথিভুক্তিকরণের সময় থেকেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার নথি কড়া ভাবে যাচাই করে নেওয়া। এর জন্য অনলাইন ভিডিয়োর মাধ্যমে আবেদনকারীর ছবি তোলা এবং বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাইয়ের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে তারা। কেন্দ্র ও রাজ্যের কর আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত জিএসটি পরিষদের আইন সংক্রান্ত কমিটি সম্প্রতি এই ধরনের একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে।
জিএসটি পরিষদের নজরে এসেছে যে, অনেক ব্যবসায়ী জিএসটি রিটার্নে বিপুল লেনদেন দেখাচ্ছেন বা দাবি করছেন আইটিসি। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ভাবে আয়কর জমা দিচ্ছেন না। পরিষদের আইন সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে তাঁদের পরামর্শ, নথিভুক্তিকরণের সময় থেকেই সতর্ক পদক্ষেপ করা হোক। যাচাই করা হোক বায়োমেট্রিক। আবার আবেদনকারীর আয়কর রিটার্ন-সহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আর্থিক নথি না-থাকলে এক জন আধিকারিক সরাসরি ব্যবসার জায়গায় গিয়ে পরিচয় যাচাই করুন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী যে ঠিকানায় আইটিসি দাবি করবেন তার সত্যাসত্যও যাচাই করেন আসুন।
এর পাশাপাশি আধিকারিকদের পরামর্শ, জিএসটি নথিভুক্তি মঞ্জুরের আগে আবেদনকারীদের অন্তত দু’টি শ্রেণিতে ভাগ করা হোক। যাঁদের সমস্ত নথি প্রশ্নাতীত, তাঁদের সাত দিনের মধ্যে নথিভুক্তি মঞ্জুর করা যেতে পারে। বাকিদের ৬০ দিনের জন্য অস্থায়ী ভাবে নথিভুক্ত করা হোক।