লোকসভা। ফাইল চিত্র।
অনাদায়ি ঋণ উদ্ধারে দেউলিয়া বিধি সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু তাকে আইনে পরিণত করতে গিয়ে মঙ্গলবার ওই বিধির কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্নের মুখে পড়ল তারা। বিরোধীরা অভিযোগ তুলল, আসলে সংশোধনীটি আনা হয়েছে একটি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে। এ দিকে, রাজ্যসভায় সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এ দিন মেনে নিয়েছেন, এ বার ১৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অনাদায়ি ঋণ বেড়েছে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা।
আবাসন নির্মাণকারী সংস্থা দেউলিয়া হলে, ফ্ল্যাটের ক্রেতাকেও পাওনাদারের স্বীকৃতি দিতে দেউলিয়া বিধিতে সংশোধন করেছিল কেন্দ্র। আজ সংসদে সেই বিল নিয়ে বিতর্কে বিরোধীদের অভিযোগ, একটি বিশেষ সংস্থাকে সুবিধা দিতেই এই সংশোধন। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে অর্থমন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্রের লক্ষ্য অনাদায়ি ঋণের সমস্যার দ্রুত সমাধান। ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের পাশাপাশি ছোট-মাঝারি শিল্পকেও সুরাহা দেওয়া জরুরি।
কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে-সহ বেশ কয়েক জন বিরোধী নেতার অভিযোগ, রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ যাতে অলোক ইন্ডাস্ট্রিজকে কিনতে পারে, সেই কারণেই অধ্যাদেশ আনা হয়েছে। পীযূষ এর সরাসরি জবাব না দেওয়ায় বিরোধীরা ওয়াক-আউট করেন। বিলটিকে স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোরও দাবি তোলেন বিরোধীরা। তবে তাতেও কান দেননি অর্থমন্ত্রী।
বিরোধীদের যুক্তি, ঋণদাতাদের কমিটিতে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তত ৭৫% ভোট প্রয়োজন ছিল। তা কমিয়ে সংশোধনী বিলে ৬৬% করা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, এই সংশোধনী আনা হয়েছে রিলায়্যান্সকে সুবিধা দিতে। কারণ, অলোক ইন্ড্রাস্ট্রিজকে রিলায়্যান্স কিনবে কি না, তা সিদ্ধান্তের জন্য ঋণদাতাদের কাছে পাঠিয়েছে কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল।
কংগ্রেস নেতা বীরাপ্পা মইলির মতে, ল ট্রাইবুনাল সরকারি টাকা লুটের ঠিকানা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের সৌগত রায় বলেন, দেউলিয়া ভূষণ স্টিলকে টাটা স্টিল কিনলেও ঋণের ৪০% অর্থ উদ্ধার হয়নি। অলোক ইন্ড্রাস্ট্রিজ হাত বদল হলেও ব্যাঙ্ক ৮৩% ঋণ ফেরত পাবে না বলে আশঙ্কা।