প্রতীকী চিত্র।
কলকাতায় ‘সেঞ্চুরি’ হাঁকানোর পরে চার দিন কাটতে না-কাটতেই পেট্রলের দাম পেরোল ১০১ টাকা। ডিজেলও পৌঁছল ৯৩ টাকার মুখে। সকলেরই প্রশ্ন, বাজার করতে গিয়ে আনাজের আগুন দামে ছেঁকা খাওয়া সাধারণ রোজগেরে বা রোজগারহীন মানুষদের দুর্ভোগ আর ঠিক কতখানি বাড়বে?
গত বুধবার পেট্রলের ‘শতদাম’ দেখেছিল এই শহর। আজ আইওসির পাম্পে তা লিটারে ১০১.০১ টাকা। গতকালের থেকে ৩৯ পয়সা বেশি। এ নিয়ে মঙ্গলবারের পর থেকে তার দাম বাড়ল মোট ১.১৭ টাকা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পেট্রল ১০০ টাকা পেরোতে শুরু করেছে গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকেই। ফলে সেখানো দর আরও বেশি। শহরে ডিজেলও আজ ৩২ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯২.৯৭ টাকা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলে সবে ছন্দে ফিরছে দেশ। বিধিনিষেধ অনেকটা শিথিল হয়েছে। ফলে রাস্তায় বেরোনোর বাধ্যবাধকতাও বেড়েছে। প্রয়োজন বাড়ছে পরিবহণের। সেই সঙ্গে তেলেরও। এই অবস্থায় ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াতের খরচ তো আকাশ ছুঁয়েছেই। দামি ডিজেলের ধাক্কায় বাসেও ভাড়া বাড়ানোর দাবি উঠছে। ট্যাক্সি-অটোর ভাড়া বহু জায়গায় বেলাগাম। মাথায় হাত কৃষকদের। পরিবহণ খরচ বাড়ায় মূল্যবৃদ্ধি চড়ছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের আক্ষেপ, কর কমিয়ে সুরাহা দেওয়ার দাবিতে কেন্দ্র কান দিচ্ছে না। রাজ্যের কর আর বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েই দায় সারছে। আর কেন্দ্রকে লাগাতার দুষছেন বিরোধীরা। খেসারত গুনছেন শুধু সাধারণ মানুষ।
অনেকেরই আক্ষেপ, এখন নিজের গাড়ি বা বাইকে যাতায়াত সুরক্ষিত হলেও তাতে চড়তে পারছেন না তেল কেনার ভয়ে। যে কারণে পাম্প মালিকদের ক্ষোভ, অবিলম্বে দাম না-কমলে বিক্রি আরও মার খাবে।