প্রতীকী ছবি।
যে সমস্ত পরিবারের বাৎসরিক আয় ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে, তারাও এখন থেকে ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধা পাবে। আগে গ্রামীণ ক্ষেত্রে ১.৫ লক্ষ টাকা এবং শহরাঞ্চলে তা ১.৬০ লক্ষ টাকা ছিল। ক্ষুদ্র ঋণ শিল্পের ক্ষেত্রে সোমবার একগুচ্ছ নিয়ম বদলের নির্দেশিকা জারি করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ফলে আরও বহু মানুষ এই ক্ষেত্রের আওতায় চলে আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এ দিনের নির্দেশিকায় ঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমার বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা ভিলেজ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কুলদীপ মাইতি বলেন, ‘‘এখন থেকে ব্যাঙ্কের মতো গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের ইতিহাস দেখে সুদের হার ঠিক করতে পারবে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলি। এর ফলে যাঁরা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করেন, তাঁরা তুলনামূলক ভাবে কম সুদে ঋণ পাবেন।’’ এখন ওই হার মোটামুটি ২১ শতাংশের কাছাকাছি। এর পাশাপাশি ঋণের ক্ষেত্রগুলিকেও প্রসারিত করা হয়েছে। আগে শুধু আয়ের রাস্তা তৈরির জন্যই ক্ষুদ্র ঋণ পাওয়া যেত। এখন থেকে শিক্ষা, বাড়ি মেরামত, নতুন বা পুরনো দু’চাকার গাড়ি কেনা-সহ বিভিন্ন কারণেও ঋণ নিতে পারবেন গ্রাহকেরা।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন পদক্ষেপ ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে মনে করেন বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘আগের থেকে এখন অনেক বেশি মানুষ ক্ষুদ্র ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।’’ অ্যাসোসিয়েশন অব মাইক্রো ফিনান্স ইনস্টিটিউশনসের সিইও অলোক মিশ্রের কথায়, ‘‘ক্ষুদ্র ঋণ শিল্পের সামনে নতুন সুযোগ খুলে গেল। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের আওতায় থাকা সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানও একই নিয়মের ছাতার তলায় এল।’’