সংস্থার খোদ শীর্ষ কর্তা কথা বলছেন গ্রাহকদের সঙ্গে। টুইটারে বসে জানতে চাইছেন অভাব-অভিযোগ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু তা-ও সংশ্লিষ্ট মহলে ঘুরছে একটাই প্রশ্ন, স্রেফ কথায় চিঁড়ে ভিজবে তো? বিশেষত সংস্থার নাম যেহেতু বিএসএনএল। সাম্প্রতিক কালে যারা গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে ঠিকই। তবে পরিষেবার মান বাড়ানো থেকে শুরু করে এখনও উন্নত মানের ৪জি সংযোগ আনতে না পারা— রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থাটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ বহাল।
আজ, মঙ্গলবার বিএসএনএলের সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তব টুইটার মারফত কথা বলবেন এ রাজ্যের গ্রাহকদের সঙ্গে। ঠিক যে ভাবে এর আগে অন্যান্য সার্কেলে ‘লাইভ চ্যাট’ করেছেন। কিন্তু ঘটনাটি ঘটছে এমন সময়ে, যখন সংস্থার ৪জি পরিষেবা আনতে না পারা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন সকলের মনে। অসন্তোষও বাড়ছে।
এ বছরের গোড়ায় টেলিকমমন্ত্রী মনোজ সিন্হা ৪জি পরিষেবার জন্য বিএসএনএলকে বাড়তি স্পেকট্রাম দেওয়ার আশ্বাস দেন। সংস্থারও দাবি ছিল, ২জি, ৩জি পেরিয়ে ৪জিকেই বাজার বাড়ানোর হাতিয়ার করছে তারা। অপেক্ষা শুধু স্পেকট্রামের। অথচ বছর শেষ হতে চললেও এখন তা পায়নি তারা। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বীরা ইতিমধ্যেই আরও উন্নত প্রযুক্তি, ৫জি আনার ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে। ছকছে খরচ, লাভের হিসেব-নিকেশ। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বছর কয়েক হল ৪জি পরিষেবা এনে বাকিরা যখন যোজন এগিয়ে, তখন শুধু আশ্বাস আর ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় বৈঠকের উপর ভরসা করে গ্রাহকের আস্থা ঠিক কতটা কুড়োতে পারবে বিএসএনএল?
হালে টেলিকম দফতরও ৫জি প্রযুক্তিতে জোর দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি ৪জি স্পেকট্রাম না মিললে ও দ্রুত সেই পরিষেবা চালু করতে না পারলে বাজারে টেকাই দায় হবে, বলছেন বিএসএনএলের কর্তাদেরই অনেকে।
সংস্থার রাজ্যের কর্তাদের অবশ্য দাবি, গ্রাহক সমস্যার কথা খোদ শীর্ষ কর্তা শুনছেন। এতেও আস্থা ফিরবে। পরিষেবা দেওয়া নিয়ে আরও সচেতন হবেন কর্মীরা। তবে ৪জি যে এই মুহূর্তে গলার কাঁটা, তা মানছেন সকলেই।