Reliance Industries

জরিমানা রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়, মুকেশের

আজ রিলায়্যান্স ও মুকেশ ছাড়াও নবি মুম্বই এসইজ়েড এবং মুম্বই এসইজ়েড-কে জরিমানা করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:০২
Share:

—ফাইল চিত্র

তেরো বছর আগে রিলায়্যান্স পেট্রোলিয়ামের (আরপিএল) শেয়ার আগাম লেনদেনের বাজারে বেআইনি ভাবে হাতবদল করার অভিযোগে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ় (আরআইএল) এবং তার কর্ণধার মুকেশ অম্বানীকে জরিমানা করল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। যার অঙ্ক যথাক্রমে ২৫ কোটি এবং ১৫ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে মুকেশ ‘রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের সব ধরনের কারচুপির জন্য দায়ী’ বলেও রায়ে জানিয়েছেন সেবির অ্যাডজুডিকেটিং অফিসার বি জে দিলীপ। এই রায় নিয়ে অবশ্য রিলায়্যান্সের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Advertisement

আজ রিলায়্যান্স ও মুকেশ ছাড়াও নবি মুম্বই এসইজ়েড এবং মুম্বই এসইজ়েড-কে জরিমানা করা হয়েছে। সেই অঙ্ক যথাক্রমে ২০ কোটি এবং ১০ কোটি টাকা। শুক্রবার ৯৫ পাতার রায়ে দিলীপের মত, লগ্নিকারীরা জানতেন না যে, আসলে এই আগাম লেনদেনের পিছনে রয়েছে খোদ রিলায়্যান্সই। তারা ১২টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে বেআইনি লেনদেনে অংশ নিয়ে মুনাফা করেছিল। এতে আরপিএলের শেয়ারের দামে প্রভাব পড়েছিল এবং ক্ষতিগ্রস্ত হন লগ্নিকারীরা।

দিলীপের কথায়, ‘‘এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির সব সময়েই পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দক্ষতা দেখানো জরুরি। না-হলে বাজারে লগ্নিকারীদের আস্থা নষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে যে ভাবে লেনদেনে কারচুপি হয়েছে, তা শেয়ার বাজারের স্বার্থের পরিপন্থী।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ভারতের নিন্দা, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ভস্মীভূত মন্দির ফের গড়বে পাক প্রশাসন

আরও পড়ুন: আমেরিকার সেনার উপর হামলায় আফগান জঙ্গিদের মদত চিনের

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের মার্চে আরপিএলের ৪.১% বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় রিলায়্যান্স। ওই বছর নভেম্বরে শাখা সংস্থাটির শেয়ার আগাম বাজারে লেনদেন হয়। ২০০৯ সালে সেটিকে নিজেদের সঙ্গে মেশায় আরআইএল। এ ক্ষেত্রে আগাম লেনদেনের নিয়ম ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছিল সেবি। এই মামলা রিলায়্যান্স আপসে মেটাতে চাইলেও, রাজি হয়নি তারা।

দীর্ঘ দিন ধরে তদন্তের পরে ২০১৭ সালের মার্চে রিলায়্যান্স এক বছর শেয়ার বাজারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ডেরিভেটিভ লেনদেন করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেয় সেবি। আরও ১২টি সংস্থাকেও এই নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, ‘অন্যায় ভাবে মুনাফা করা’ ৪৪৭ কোটি টাকা ফেরত দিতেও বলা হয় রিলায়্যান্সকে। সঙ্গে ২০০৭ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে দিতে হত ১২% সুদও। দুইয়ে মিলে সেই অঙ্ক প্রায় ১,০০০ কোটি। রিলায়্যান্স এর বিরুদ্ধে সেবির আপিল আদালতে আর্জি জানালেও, গত নভেম্বরে তা খারিজ হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল রিলায়্যান্স।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement