পি সি মোহনন। ছবি: রয়টার্স।
জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের (এনএসসি) কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ২৯ জানুয়ারি। অভিযোগ করেছিলেন, বহু মাস ধরে তাঁদের কথার গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল না। ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছিল কর্মসংস্থানের রিপোর্ট। তার প্রতিবাদে করা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই বলেই জানালেন পি সি মোহনন। তাঁর দাবি, ‘‘পছন্দ হোক বা না হোক, নির্দিষ্ট সময়ে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা উচিত। না হলে পুরো ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে কই?’’
সূত্রের খবর, মনমোহন জমানার জিডিপি ও বৃদ্ধির হারের সংশোধিত হিসেব মোদী সরকার যে ভাবে এনএসসি-কে ‘উপেক্ষা করে’ ও নীতি আয়োগকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ করেছে, তা খুশি করেনি এনএসসি সদস্যদের। মোহননের দাবি, যে ভাবে আয়োগ পরিসংখ্যান প্রকাশের কাজে জড়িত ছিল, তা নিয়ে চিন্তা ছিল তাঁর।
আবার ২০১৭-১৮ সালের জন্য ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে দফতর কর্মসংস্থানের যে সমীক্ষা তৈরি করেছিল, এখনও পর্যন্ত তা প্রকাশ করেনি কেন্দ্র। মোহননের দাবি, তথ্য প্রকাশ না করার কারণ জানতে চেয়ে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সন্তোষজনক উত্তর মেলেনি। স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমারের মতে, চাকরির পরিসংখ্যান তৈরির নির্দিষ্ট তথ্য ভারতে পাওয়া যায় না। তাই কর্মসংস্থান নিয়ে খাঁটি পরিসংখ্যান তৈরি করা এখানে সম্ভব নয়।