—প্রতীকী ছবি।
নিয়ন্ত্রণ বিধি লঙ্ঘনের জন্য জানুয়ারির শেষে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের (পিপিবিএল) বেশির ভাগ পরিষেবার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী আজ থেকে পিপিবিএলের অধিকাংশ পরিষেবা বন্ধ হচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে গ্রাহকের আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিলি, ফাস্ট্যাগ ইত্যাদি। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সেই সময়সীমার কোনও বদল হয়নি। তবে এ দিন সন্ধ্যায় পেটিএমের মূল সংস্থা ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশন্স-কে চারটি ব্যাঙ্কের (স্টেট ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং ইয়েস ব্যাঙ্ক) মারফত (থার্ড পার্টি অ্যাপ) ইউপিআই পরিষেবা চালানোর অনুমোদন দিয়েছে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনপিসিআই)। ফলে তাদের পেটিএম অ্যাপ মারফত টাকা লেনদেন করতে কোনও অসুবিধা হবে না গ্রাহকদের।
অন্য দিকে, পিপিবিএল ১০% কর্মী ছাঁটাই করতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। সংস্থার কর্মী মহল সে রকমই দাবি করেছে বলে খবর। একাংশের বক্তব্য, সংস্থার বিভিন্ন পরিষেবা যখন বন্ধ হচ্ছে, ঠিক তখনই সেখানে চলছে কর্মীদের কাজের বার্ষিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া। ফলে পিছিয়ে রয়েছেন অভিযোগ তুলেই একাংশকে সংস্থা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। যদিও পিপিবিএলের এক মুখপাত্রের দাবি, কাউকে ছাঁটাই করা হচ্ছে না। তবে তিনি এটাও বলেন, ‘‘বরাবরের মতো বার্ষিক দক্ষতা মূল্যায়নের প্রক্রিয়া চলছে। সে ক্ষেত্রে কাজের ভূমিকা ও দক্ষতার বিচারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে বুঝতে হবে, সেটা ছাঁটাইয়ের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।’’ এটা কীসের ইঙ্গিত, তা নিয়ে জল্পনা দানা বাঁধছে।