বিতর্কে: আর গাঁধী। ফাইল চিত্র
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর আর গাঁধীর পেটিএমে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের মাথাচাড়া দিল নোটবন্দি বিতর্ক।
অমিত শাহ আমদাবাদের যে সমবায় ব্যাঙ্কের অধিকর্তা, সেই ব্যাঙ্কে দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি বাতিল নোট জমা পড়েছে। কংগ্রেস এই নিয়ে আক্রমণও শানিয়েছে। এ বার আর গাঁধী পেটিএমে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস বলছে, আঁতাতের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেল। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরার বক্তব্য, ‘‘সুবিধা পাইয়ে দিয়ে পাল্টা সুবিধা নেওয়ার দৃষ্টান্ত পরিষ্কার।’’
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী অবশ্য আগেই বলেছিলেন, ‘‘পেটিএম হল ‘পে টু মোদী’। কারণ, পেটিএমের মতো সংস্থার ফায়দার জন্যই প্রধানমন্ত্রী নোটবন্দি করে ডিজিটাল লেনদেনে বাধ্য করেছেন।’’ স্বদেশি জাগরণ মঞ্চেরও অভিযোগ ছিল, নোটবন্দির ফলে পেটিএমের মতো সংস্থাগুলি লাভবান হয়েছে। পেটিএমে চিনের সংস্থা আলিবাবার বিনিয়োগ থাকাও তাদের আপত্তির কারণ ছিল।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর থাকাকালীন গাঁধী ডিজিটাল লেনদেন, তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো দেখভাল করতেন। এমনিতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আমলাদের বেসরকারি সংস্থায় যোগ দেওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু এখন এই অস্ত্রে স্বাভাবিক ভাবেই আক্রমণ শানাচ্ছে কংগ্রেস।
এ দিকে, সমবায় ব্যাঙ্ক বিতর্কে নাবার্ডের যুক্তি, আমদাবাদের ব্যাঙ্কটিতে অ্যাকাউন্ট প্রতি জমার অঙ্ক ৪৬ হাজার টাকার মতো। যা অন্যান্য ব্যাঙ্কের তুলনায় কম। অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের বক্তব্য, নাবার্ডের তথ্যেই কংগ্রেসের অভিযোগ খারিজ হয়েছে। খেরার পাল্টা দাবি, ‘‘নাবার্ডকে বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।’’