প্যাটন কনট্যাক্টলেস সেফ ওয়াশ স্টেশন।
করোনার সংক্রমণ এড়াতে ‘কনট্যাক্টলেস সেফ ওয়াশ স্টেশন’ বাজারে আনল প্যাটন। না ছুঁয়ে যাতে হাত ধোয়া যায় এবং সংক্রমণ এড়ানোর বিষয়টি মাথায় রেখেই অভিনব এই ‘ওয়াশ স্টেশন’ তৈরি করা হয়েছে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আপাতত দুটো মডেল বাজারে এনেছে প্যাটন। রেগুলার সিঙ্গল বেসিন। যার ট্যাঙ্কের ধারণ ক্ষমতা ২০০ লিটার। এবং আল্ট্রা সিঙ্গল বেসিন। এর সঙ্গে ৫০০ লিটার ধারণ ক্ষমতার ট্যাঙ্ক যুক্ত থাকবে।
ট্যাঙ্কের সঙ্কে একটি কল থাকবে। তার ঠিক নীচে দু’দিকে দুটো বেসিন। বেসিন দুটো একটা অন্যটার উল্টো দিকে লাগানো থাকবে যাতে দু’জন ব্যক্তি কেউ কারও সংস্পর্শে না আসতে পারেন।
হাত ধোয়ার জন্য কল খুলতে হবে না। সেফ স্টেশনের নীচের অংশে গাড়ির অ্যাক্সেলেটরের মত একটি অংশ রয়েছে। যাতে পা দিয়ে চাপ দিলেই কল থেকে হাত স্যানিটাইজ করে নেওয়া যাবে। ২০০ লিটারের সেফ স্টেশনে ৩০০ বার হাত ধোয়া যাবে। ৫০০ লিটারের সেফ স্টেশনে ৭৫০ বার হাত স্যানিটাইজ করা যাবে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতটা? রোগ ফেরার ভয় কাদের বেশি?
ফ্যাক্টরি, কোনও অফিস, আবাসন, রেস্তরাঁ, ক্যাফে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এই সেফ স্টেশন ব্যবহার করা যাবে। ব্যবহার করা খুব সহজ। পরিচ্ছিন্নতার দিক থেকে উৎকৃষ্ট মানের, খুব অল্প জায়গার মধ্যে বসানো যায়— এমন নানা দিক খতিয়ে দেখার পরই এই সেফ স্টেশন বাজারে এনেছে প্যাটন।
সংস্থার প্রেসিডেন্ট প্রিয়ম বুধিয়া এই প্রকল্পটির পুরোভাগে ছিলেন। তাঁর কথায়, “আমরা এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। লকডাউন উঠে গেলে নিউ নর্ম্যাল শুরু হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিততে হলে হাত পরিষ্কার রাখা এবং ধোয়া খুবই জরুরি। তাই আমাদের লক্ষ্য ছিল, এমন একটা সমাধান বার করা যা সহজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে ওঠে।”