এখনই বিক্রি বা বেসরকারি হাতে তুলে না দিয়ে, ঘুরে দাঁড়াতে এয়ার ইন্ডিয়াকে আরও পাঁচ বছর সময় দেওয়া উচিত বলে মনে করছে পরিবহণ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সম্প্রতি এই পরিবহণ, পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অন্য একটি রিপোর্টও জমা পড়েছে সংসদে। কমিটির চেয়ারম্যান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এখন এয়ার ইন্ডিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও একটি রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। সেখানেই সংস্থাকে আরও পাঁচ বছর সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কমিটির খসড়া রিপোর্ট জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার ঘাড়ে যে বিপুল ঋণের বোঝা চেপেছে, তার জন্য কেন্দ্রের ভুল নীতিই দায়ী। এই বিমান সংস্থাকে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে বার করে এনে স্বাধীন ভাবে অন্তত ২০২২ সাল পর্যন্ত কাজ করতে ও সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া উচিত বলেও মনে করে কমিটি।
খসড়া রিপোর্টটি সংসদীয় কমিটির সদস্য সব সাংসদের কাছেও পাঠানো হয়েছে। সেখানে কমিটির বক্তব্য, পুনরুজ্জীবনের জন্য বার বার ছোট ছোট ঋণ দিয়ে আখেরে ক্ষতি করা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার। বিশাল সুদে সেই সব ঋণ নিয়ে এখন তাদের নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা। ২০১৭-র মার্চ পর্যন্ত সংস্থার ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮,৮৭৭ কোটি টাকা। যার মধ্যে বিমান কেনার জন্য ঋণ ১৭,৩৬০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরের শেষে সংস্থার নিট লোকসানের পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৩,৫৭৯ কোটি। গত বছরের তুলনায় যা কম। যার অর্থ, এখন ব্যবসা থেকে অপারেটিং লাভের মুখ দেখছে এয়ার ইন্ডিয়া। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, গত অর্থবর্ষে সেই লাভ ২১৫ কোটি ছিল। চলতি বছরে তা বেড়ে ৫৩১ কোটি ছোঁয়ার আশা। এই অবস্থায় সংস্থা বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করা হয়েছে ওই খসড়া রিপোর্টে।
এই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে এয়ার ইন্ডিয়ার সহযোগী সংস্থাগুলির কথা। কমিটির দাবি, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, অ্যালায়েন্স এয়ার, এয়ার ইন্ডিয়া এয়ার ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস লিমিটেড-এর মতো সংস্থা এখন লাভের মুখ দেখছে। এমনকী, এয়ার ইন্ডিয়া নিজেও লাভ করছে। এই অবস্থায় পাঁচ বছর পরে কেন্দ্র আবার সংস্থার অবস্থা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিক বলে মনে করছে কমিটি।