কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
গত ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ কেন্দ্রের মোট ঋণের অঙ্ক ছিল ৫৮.৬ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ তা বেড়ে ১৫৫.৬ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ, গত ন’বছরে ঋণের বোঝা বেড়েছে প্রায় ৯৭ লক্ষ কোটি। এই সময়ের মধ্যে ঋণ এবং জিডিপির অনুপাতও ৫২.২% থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৭.১%। সোমবার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) এবং কংগ্রেস সাংসদ রভনীত সিংহ বিট্টুর কয়েকটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি। তিনি আরও জানান, গত পাঁচ বছরে এই ঋণের সুদ বাবদ সরকারের দায় ৫.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯.২৮ লক্ষ কোটি টাকা (প্রাথমিক হিসাব)। তবে মন্ত্রীর দাবি, এই ঋণ বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব জাতীয় অর্থনীতির উপরে পড়েনি।
এ দিন মন্ত্রী জানান, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ঋণের অঙ্ক ছিল ১০৫.১ লক্ষ কোটি টাকা, জিডিপির ৫২.৪%। কিন্তু এক বছরের মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবর্ষেই এক লাফে তা বেড়ে ১২১.৯ শতাংশে পৌঁছয় (৬১.৫%)। জিডিপির নিরিখে ঋণের বোঝা প্রায় ৯% বেড়ে যায়। মূলত অতিমারির জন্যই সেই সময়ে সরকারের ঋণ বেড়েছে। চৌধরির দাবি, তখন এমন কিছু খাতে সরকার খরচ বাড়িয়েছে যাতে আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল মানুষ উপকৃত হন। মূলধনী খাতে খরচ বাড়ানোর সুবাদেও দেশের অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। চৌধরির আরও দাবি, এর পর থেকেই অর্থনীতিকে আঁটোসাঁটো করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্র। নজর দেওয়া হয়েছে খরচের দিকেও। যার ফলে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষেই ঋণের অনুপাত ৫৭.১ শতাংশে নেমেছে।