ফাইল চিত্র।
করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও বিধিনিষেধের সময় বাড়ানো হয়েছে। অত্যাবশ্যক কিছু পরিষেবা কিংবা চা-পাটের মতো হাতে গোনা কয়েকটি ক্ষেত্র বাদে শিল্পের দরজা আপাতত কার্যত বন্ধ। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই)। করোনা বিধি মেনে ছোট সংস্থাকেও কারখানা খোলার অনুমোদন দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছে ওই শিল্পের সংগঠন ফেডারেশন অব স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ় (ফসমি)। রফতানিকারীদের সংগঠন ইইপিসি-র প্রস্তাব, অন্তত ৫০% কর্মী এবং ২৫% ম্যানেজমেন্টের সদস্য দিয়ে সংস্থা চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হোক। সংশ্লিষ্ট শিল্পের একাংশের বক্তব্য, ছোট সংস্থাগুলি বন্ধ থাকলে ধাক্কা খাবে ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ রফতানি শিল্প। যাদের হাতে এখন বিপুল বরাত।
কিন্তু সংক্রমণের পরিস্থিতিতে এই আর্জি কতটা যুক্তিযুক্ত? সংক্রমণে রাশ টানার প্রয়োজনীয়তার কথা মেনে ফসমির প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর বক্তব্য, কোনও পণ্যের বরাত দেওয়ার পরে ক্রেতার থেকে আগের বরাতের পাওনা পায় ছোট সংস্থাগুলি। এ ভাবেই ‘রোল’ করে ব্যবসা ও মূলধন। এখন কারখানা বন্ধ থাকায় নতুন বরাত দিতে না-পারায় আগের প্রাপ্য আটকে থাকছে। আবার আন্তঃরাজ্য ব্যবসা চালু থাকলেও এ রাজ্যে বিধিনিষেধের জন্য অন্য রাজ্যের ক্রেতাদের পণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে কাঁচামালের খরচ, ঋণের কিস্তি কিংবা জিএসটি মেটানোর জন্য নগদে টান পড়ছে। গত বছরও সংস্থাগুলি একই সমস্যায় পড়েছিল।
ছোট সংস্থাগুলির বক্তব্য, তাদের কর্মীরা সাধারণত কারখানার কাছাকাছিই থাকেন। তাঁরা সাইকেলে পৌঁছতে পারবেন বা সংস্থা আনার ব্যবস্থা করবে। কাজ হতে পারে করোনা বিধি মেনে কড়া নজরদারিতে।