অতিরিক্ত কাজ করানো হলে কর্মীদের ক্ষতি তো বটেই, সংস্থারও বিরাট কোনও লাভ হয় এমনটা নয়। —প্রতীকী চিত্র।
ভারতকে উন্নত অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তুলতে গেলে নাগরিকদের সপ্তাহে কতক্ষণ কাজ করা উচিত, তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। তবে আমেরিকার বাণিজ্য উপদেষ্টা সংস্থা ভার্টেক্স গোষ্ঠীর এক সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অতিরিক্ত কাজ করানো হলে কর্মীদের ক্ষতি তো বটেই, সংস্থারও বিরাট কোনও লাভ হয় এমনটা নয়। বরং উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল হওয়া প্রয়োজন। সপ্তাহান্তের বিরতি সেই সুযোগ করে দেয়। ফলে খুব প্রয়োজন না হলে সেই ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করা বিবেচকের কাজ নয়।
দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, কর্নাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ১৫০০ জন পেশাদারের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে রিপোর্টটি তৈরি করেছে ভার্টেক্স গোষ্ঠী। সেখানে বলা হয়েছে, ৫২% উত্তরদাতাই মনে করছেন, কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্যের অভাব কর্মীদের ক্ষতি করছে। সেই ভারসাম্যের পাশাপাশি তাঁরা চান কাজের নমনীয় সময়। এখন প্রায় এক-চতুর্থাংশ কর্মী (২৩%) স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় কাজ করেন। সমীক্ষায় এমনও দাবি করা হয়েছে যে, দিনে ৮-৯ ঘণ্টা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও প্রায় ২০% কর্মীর উৎপাদন ক্ষমতা ২.৫-৩.৫ ঘণ্টার সমানুপাতিক। ফলে কাজের সময় বাড়িয়ে দিলেই যে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে তার কোনও মানে নেই। সমীক্ষাকারী সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা গগন অরোরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য আশু প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানেরও উচিত কর্মচারীর প্রত্যাশা বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তৈরি করা। সপ্তাহান্তে কর্মীরা পরের সপ্তাহের জন্য নিজেদের নতুন করে তৈরি করার সুযোগ পান। খুব প্রয়োজন না হলে সেই ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত না করাই ভাল।’’