বিশ্ব ব্যাঙ্ক। ফাইল চিত্র।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের ‘সহজে ব্যবসার পরিবেশ’ (ইজ় অব ডুয়িং বিজ়নেস) সূচকে গত বছর ভারত ১৪ ধাপ এগিয়ে ৬৩ নম্বরে পৌঁছনোকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরে হামেশাই বড়াই করে মোদী সরকার। এ বার র্যাঙ্কিং যাচাইয়ের তথ্যে অনিয়মের কথা জানিয়ে খোদ বিশ্ব ব্যাঙ্ক সেই সূচকের প্রকাশ স্থগিত করতেই, ভারতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কটাক্ষের মুখে পড়ল কেন্দ্র। কোন দেশের তথ্যে গলদ ও হিসেবের পদ্ধতি সামঞ্জস্যহীন, তা বলেনি প্রতিষ্ঠানটি।
তবে সূচককে ‘অর্থহীন’ তকমা দিয়ে, তা নিয়ে দেশের সরকারি মহলের মাতামাতিকে গুচ্ছের সময় নষ্ট বলে এই দিন তোপ দেগেছে কংগ্রেস, সিপিএমের মতো দলগুলি। বলেছে, দেশের সমস্যায় আমল না-দিয়ে যে র্যাঙ্কিং-কে পাখির চোখ করা হয়েছিল, তা কতটা সারবত্তাহীন প্রমাণ হল।
যদিও নীতি আয়োগের কর্তা অমিতাভ কান্তের পাল্টা দাবি, সূচক নয়, ভারতকে লগ্নির সহজ গন্তব্য হিসেবে দুনিয়ার কাছে তুলে ধরাই লক্ষ্য তাঁদের। এর আগে অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুও বলেছিলেন, লগ্নি পরিবেশের উন্নতি বুঝতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই মাপকাঠি সব নয়। বৃহস্পতিবার সেই সূচকের হিসেবে তথ্যের সত্যতা নিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্ক নিজেই প্রশ্ন তোলায় সরগরম হয় ভারতের রাজনীতি। কান্ত অবশ্য বলেছেন, ‘‘গুরুত্ব সহকারে অনিয়মের তদন্ত করা উচিত বিশ্ব ব্যাঙ্কের। তার পর যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট প্রকাশ করুক তারা।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, রিপোর্টের তথ্যের সত্যতা নিয়ে বছরের শুরুতেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ পল রোমার। বক্তব্য ছিল, বিশেষত চিলির প্রেসিডেন্টকে বিড়ম্বনায় ফেলতে রাজনৈতিক কারসাজি করা হয়েছে সূচকে। পরে এ নিয়ে ব্যাঙ্কের শীর্ষ মহলের তিরস্কারের প্রেক্ষিতে বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। এবং বুধবারই পদত্যাগ করেন তিনি।