বিজেপির অবশ্য দাবি, উৎসবের মরসুমের উপরে নির্ভর করে অক্টোবর-ডিসেম্বরে অর্থনীতি গতিশীল হবে। —প্রতীকী চিত্র।
গত জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশে নেমে যাওয়া নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে আগেই। তাতে যোগ হল নভেম্বরে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি। যা কমে ৫.৪৮% হলেও, তা চড়াই। ফলে মোদী সরকারের আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে ফের আক্রমণে নামল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, কর্পোরেট কর ছাঁটাই বা উৎপাদন নির্ভর ভর্তুকি প্রকল্পের (পিএলআই) মতো যে সব কৌশল কেন্দ্র নিয়েছে, তার প্রায় সবই জলে গিয়েছে। মাঝখান থেকে মধ্যবিত্তের উপরে করের বোঝা বেড়েছে। কমেছে পণ্যের চাহিদা। যা অর্থনীতির গতিকে মন্থর করেছে। বেড়েছে শুধু হাতে গোনা কিছু বড় সংস্থার একচেটিয়া ক্ষমতা। বিজেপির অবশ্য দাবি, উৎসবের মরসুমের উপরে নির্ভর করে অক্টোবর-ডিসেম্বরে অর্থনীতি গতিশীল হবে।
আজ সংবাদমাধ্যমের এক রিপোর্ট উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, বৃহৎ সংস্থাগুলির মুনাফা বেড়েছে বটে। তবে কর্মীদের বার্ষিক আয় বৃদ্ধির হার ০.৮%-৫.৪%। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কর্পোরেট কর হ্রাস এবং পিএলআই প্রকল্পের মতো কৌশল আদতে মধ্যবিত্তের করের বোঝা বাড়িয়েছে। নিয়োগ না করেই মুনাফা বাড়িয়ে ফেলেছে বড় সংস্থাগুলি। এই সমস্ত নীতি যে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ব্যর্থ হয়েছে তা এখন স্পষ্ট।’’ তাঁর পরামর্শ, বেতনভুক মধ্যবিত্তের করের হার কমানো হোক। আয় বৃদ্ধির রাস্তা খোলা হোক দরিদ্রদের জন্য।
যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের যুক্তি, ‘‘লোকসভা নির্বাচন থাকায় সরকারের নীতি নির্ধারণ এবং আর্থিক কর্মকাণ্ড অনেকটা থমকে ছিল। মার্চের মধ্যে অর্থনীতিতে গতি ফিরবে।’’