প্রতীকী চিত্র
ভারত আর্জি জানালেও, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দামকে ঠেলে উপরে তুলে রাখতে তার উৎপাদন বাড়াতে নারাজ ছিল তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক এবং তার সহযোগীরা। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার তারা জানাল, মে থেকে জুলাই পর্যন্ত উৎপাদন ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দিনে ২০ লক্ষ ব্যারলে নিয়ে যাওয়া হবে। অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে থাকা বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে তাল মেলাতেই এই পদক্ষেপ। তবে সতর্ক ভাবে এগোনো হবে সেই রাস্তায়। তার প্রভাব তেলের দামের উপরে কী ভাবে পড়ে, সে দিকে আগ্রহ থাকবে সংশ্লিষ্ট মহলের।
এ দিকে, লাগাতার বৃদ্ধির নিরিখে নামমাত্র হলেও সম্প্রতি কমেছে পেট্রল, ডিজেল এবং গৃহস্থের রান্নার গ্যাসের দাম। বৃহস্পতিবার সেই তালিকায় শামিল হয়েছে বিমান জ্বালানি এটিএফ। প্রতি কিলোলিটার দাম কমল ৩%। ফলে কলকাতায় তা দাঁড়াল কিলোলিটার পিছু ৬২,৭৩২.৬৯ টাকা। দিল্লিতে ১৮৮৭ টাকা কমে ৫৮,৩৭৪.১৬ টাকা। তবে হোটেল ও রেস্তরাঁয় রান্নার জন্য ব্যবহারের (বাণিজ্যিক) ১৯ কেজির গ্যাস সিলিন্ডারের দাম এ মাসে ৩১.৫০ টাকা বেড়েছে। কলকাতায় সেটির দাম পড়ছে ১৭১৩ টাকা।
বিমান সংস্থাগুলিকে বিপাকে ফেলে গত ফেব্রুয়ারি থেকে নাগাড়ে দাম বাড়ছিল এটিএফের। ১ ফেব্রুয়ারি কিলোলিটার পিছু ৩২৪৬.৭৫ টাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি ৩.৬%, ১ মার্চ ৬.৫%, ১৬ মার্চ ৮৬০.২৫ টাকা। তার পরে এই প্রথম তা কমল। এ দিন রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির দাবি, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমার কারণেই কিছুটা সস্তা হয়েছে এটিএফ। পেট্রল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানোর সময়ও একই যুক্তি তুলে ধরে গাড়ির মালিক, পরিবহণ শিল্প এবং গৃহস্থের দরজায় সেই সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে তারা।
বৃহস্পতিবার ছিল নন্দীগ্রাম-সহ রাজ্যের ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। তার ঠিক আগে বুধবার রান্নার গ্যাস (১৪.২ কেজি) সিলিন্ডারের দাম কমে ১০ টাকা। ফলে কলকাতায় সিলিন্ডারের নতুন দাম দাঁড়ায় ৮৩৫.৫০ টাকা। ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত যার দাম বেড়েছিল ২২৫ টাকা। যদিও ৮০০ টাকা পার গ্যাসের দামে ১০ টাকা ছাড়া আদতে কতটা স্বস্তির, সেই প্রশ্ন থাকছেই।
রেকর্ড ছোঁয়া পেট্রলের দরও কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে এর আগে তিন দিনে লিটার পিছু মোট ৫৮ পয়সা কমে ৯০.৭৭ টাকা হয়েছে। ৬০ পয়সা কমে ডিজেল ৮৩.৭৫ টাকা। তবে বুধ, বৃহস্পতির পরে শুক্রবারও এই দুই জ্বালানির দাম বদলায়নি।