প্রতীকী ছবি।
কিছু দিন আগেও যা ছিল প্রায় ৫৫ ডলারের কাছাকাছি, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের সেই দামই মঙ্গলবার দিনভর ঘোরাফেরা করে ব্যারেল পিছু ৩৭ ডলারের আশেপাশে। পরিসংখ্যান বলছে, সোমবার যেখানে দর নেমে গিয়েছিল, সেখান থেকে এ দিনের এই লাফ প্রায় ৮%। প্রায় ৩০ বছরে এক দিনে এত উত্থান দেখা যায়নি। ভারতীয় সময় রাতের দিকে ব্রেন্ট ক্রুড আরও উঠে হয় ৩৭.৮৩ ডলার। প্রায় ১০.১০% বেশি। সোমবার তা এক সময় নেমে গিয়েছিল ২৯ বছরের নীচে, ব্যারেলে ৩১ ডলারের কাছে।
এ দিনই সৌদি অ্যারামকো এপ্রিল থেকে উৎপাদন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। ফলে প্রতিযোগিতার জেরে আরও কমতে পারে দর।
ভারত অবশ্য মঙ্গলবারের দামেও আশাই দেখছে। কারণ, এতে আমদানি খাতে খরচ কমবে সরকারের। অর্থনীতির ঝিমুনি কাটাতে যাদের কিছু বাড়তি খরচের ভার বইতেই হচ্ছে এই মুহূর্তে। তবে এতে পেট্রল-ডিজেল কেনার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কতটা সুবিধা হবে সেই প্রশ্ন থাকছেই। কারণ, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে চাহিদা কমায় বেশ কিছু দিন ধরেই বিশ্ব বাজারে তেল সস্তা হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা আইওসি মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৩ দিনে কলকাতায় লিটারে পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমিয়েওছে যথাক্রমে ১.৬৭ টাকা ও ১.৬৮ টাকা। তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, অশোধিত তেল চড়া হলে যত দ্রুত ও বেশি হারে দেশে সেগুলির দাম বাড়ে, কমলে তত দ্রুত ও বেশি হারে দাম ছাঁটা হয় না। আর এক সূত্রের অবশ্য দাবি ডলারের নিরিখে টাকার দাম যে নাগাড়ে পড়ছে, সেটাও মাথায় রাখা দরকার। বুধবার কলকাতায় তেলের দাম অপরিবর্তিত রেখেছে আইওসি, লিটার পিছু পেট্রল ৭২.৯৮ ও ডিজেল ও ৬৫.৩৪ টাকায়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, কয়েকটি দেশে ত্রাণ প্রকল্প চালুর সম্ভাবনা ও তেলের উৎপাদন কমাতে ওপেকের সঙ্গে আলোচনা করতে রাশিয়ার ইঙ্গিতের জন্যই এ দিন বিশ্ব বাজারে বেড়েছে তেলের দাম।