মার্কিন বাজারে তেল পড়ল ১ ডলারের বেশি

বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম গত সপ্তাহ শেষে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও মজুতের পরিমাণ আরও বাড়ায় বুধবার তা তলিয়ে গেল এক ধাক্কায় এক ডলারেরও বেশি। ফলে তা আবার ব্যারেলে ৩০ ডলারের দিকে নামতে থাকায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে আন্তর্জাতিক শেয়ার বাজারে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:১২
Share:

বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম গত সপ্তাহ শেষে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও মজুতের পরিমাণ আরও বাড়ায় বুধবার তা তলিয়ে গেল এক ধাক্কায় এক ডলারেরও বেশি। ফলে তা আবার ব্যারেলে ৩০ ডলারের দিকে নামতে থাকায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে আন্তর্জাতিক শেয়ার বাজারে। আর, তার জেরে ফের ধাক্কা খায় ইউরোপ-আমেরিকার বাজার। প্রসঙ্গত, শুধু জানুয়ারিতেই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম পড়েছে ১৬ শতাংশ। ফলে দামে ধস নামার শুরু ২০১৪-র মাঝামাঝি থেকে এ পর্যন্ত পতন ৭৭ শতাংশ।

Advertisement

তবে ভারত-সহ এশীয় বাজার এ দিন চাঙ্গাই ছিল। ভারতের বাজারে অবশ্য সামান্যই উঠেছে সেনসেক্স। আসলে মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ আজ তার বৈঠকে আর এক দফা সুদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কি না, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে শেয়ার বাজার। ভারতীয় সময় গভীর রাতে ফেড রিজার্ভের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কথা।

আমেরিকায় তেলের দাম ১.০৯ ডলার পড়ে ছুঁয়েছে ব্যারেলে ৩০.৩৬ ডলার। ব্রিটেনে ব্রেন্ট ৭১ সেন্ট কমে হয়েছে৩১.০৯ ডলার। আসলে আচমকাই আমেরিকায় অশোধিত তেলের মজুতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পরিসংখ্যানে এ দিন পড়তে থাকে তার দাম। তেলের দাম ফের ৩০ ডলারের দিকে পিছু হটতে থাকে। চাহিদার তুলনায় ইতিমধ্যেই বাড়তি জোগানের চাপ সামলাতে নাজেহাল তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির অর্থনীতি। আমেরিকায় মজুতভাণ্ডার বাড়ার খবর সেই দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, তেলের দর এখনও তার তলানি ছোঁয়নি। সরবরাহ না-কমলে তেল যে-আরও তলিয়ে যাবে, সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, আজ প্রকাশিত হিসাব অনুসারে, গত সপ্তাহে আমেরিকায় অশোধিত তেলের মজুত বেড়েছে ১১৪ লক্ষ ব্যারেল। ভাঁড়ার পৌঁছেছে ৪৯৬৬ লক্ষ ব্যারেলে। এর আগে তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক এবং রাশিয়া একজোট হয়ে অশোধিত তেলের উৎপাদন ছাঁটাই করার সম্ভাবনা তৈরি হলেও শিল্পমহলের ধারণা, তাদের মধ্যে রফার সম্ভাবনা ক্ষীণ। অশোধিত তেলের জন্য ভারতের মতো আমদানি-নির্ভর দেশগুলির পক্ষে অবশ্য বিশ্ব বাজারে তলানিতে থাকা তেল সরকারের খরচ বাঁচানোর সুযোগ করে দিয়েছে। তবে ঘুরপথে আন্তর্জাতিক শেয়ার বাজারে ধাক্কা দিয়ে তা ভারতেও সূচককে টেনে নামাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

এ দিকে, দ্রুত ওঠানামার বাজারে বুধবার লেনদেনের শেষে ৬.৪৪ পয়েন্ট উঠে থিতু হয় মুম্বই বাজারের সূচক সেনসেক্স। বাজার বন্ধের সময়ে তা দাঁড়ায় ২৪,৪৯২.৩৯ অঙ্কে। তবে এই দিন লেনদেনের পুরো সময়টা জুড়ে সেনসেক্স ওঠা-নামা করেছে প্রায় ২০০ পয়েন্ট। তবে এ দিন ফের পড়েছে টাকার দাম। লেনদেন শেষে প্রতি ডলারের দাম এসে দাঁড়ায় ৬৮.০৫ টাকা। ফলে আগের দিনের থেকে ২২ পয়সা পড়েছে টাকা। গত ২৯ মাসের মধ্যে টাকার দাম এ দিন সব থেকে নীচে নামে।

বৃহস্পতিবার আগাম লেনদেনের সেট্‌লমেন্টের দিন। যার ফলে অনিশ্চিত বাজারে নতুন করে লগ্নি করা থেকে বিনিয়োগকারীরা বিরত ছিলেন বলে বাজার সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement