হরদীপ সিংহ পুরী।
আকাশছোঁয়া জ্বালানি, খাদ্য এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন দুর্বিষহ অবস্থা সাধারণ মানুষের, তখন ফের পেট্রল-ডিজ়েলে কর কমিয়ে ক্রেতাকে স্বস্তি দেওয়ার দায় রাজ্যগুলির ঘাড়ে ঠেললেন তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, কেন্দ্র উৎপাদন শুল্ক কমিয়েছে। এ বার তারা ক্রেতাদের সুরাহা দিতে রাজ্যগুলিকে তেলে ভ্যাট কমাতে আর্জি জানাচ্ছে। যদিও বিরোধী-সহ একাংশ অভিযোগ তুলেছে, নভেম্বরে কেন্দ্র পেট্রলে লিটারে ৫ টাকা ও ডিজ়েলে ১০ টাকা শুল্ক কমালেও, দাম বৃদ্ধির নিরিখে তা সামান্য। অথচ সাত বছর ধরে ওই শুল্কে রাজকোষ ভরেছে কেন্দ্র।
ছত্তীসগঢ়ে এক অনুষ্ঠানে তেলের বাড়তে থাকা দামের প্রসঙ্গে পুরী বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করি দাম নিয়ন্ত্রণে
রাখতে। তাই কেন্দ্র পেট্রল-ডিজ়েলে উৎপাদন শুল্ক কমিয়েছিল গত বছর ও রাজ্যগুলিকে একই পথে হাঁটতে বলেছিল।’’ কংগ্রেস শাসিত ছত্তিসগঢ়ে দুই জ্বালানিতে ২৪% ভ্যাটের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর দাবি, এটা ১০ শতাংশে নামানো হলে দাম পড়বে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘তেলের চাহিদা যখন বাড়ছে তখন ১০% ভ্যাট অনেক বেশি। সব বিজেপি শাসিত রাজ্য ভ্যাট কমিয়েছে।’’ সংশ্লিষ্ট মহল দেখাচ্ছে, ২০১৪ সালে পেট্রল ও ডিজ়েলে শুল্ক ছিল যথাক্রমে ৯.৪৮ টাকা এবং ৩.৫৭ টাকা। এখন যথাক্রমে ২৭.৯০ টাকা এবং ২১.৮০ টাকা।
এ দিন পেট্রোপণ্যের চড়া দামের প্রতিবাদে মহারাষ্ট্রের শোলাপুরে একটি স্থানীয় সংস্থা ৫০০ জনকে লিটারে
১ টাকায় তেল দিয়েছে। ছত্তীসগঢ়ে যুব কংগ্রেসের কর্মীরা পুরীকে কালো পতাকা দেখান। প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কেন্দ্র দ্বিগুণ বাড়ানোয় গ্যাস বণ্টন সংস্থাগুলি সিএনজি-র দাম বাড়াচ্ছে। এতে ভর্তুকি না দেওয়া হলে সোমবার দিল্লিতে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অটো-ট্যাক্সি-অ্যাপ ক্যাব চালকেরা।