প্রতীকী ছবি।
পরিচয় যাচাইয়ে আধার বাধ্যতামূলক নয়। তবে অনেকেরই অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে অন্য উপায় কার্যত না থাকায় পরোক্ষে সেটি বাধ্যতামূলকই হয়ে পড়েছে। আর সেই সুযোগে দেশ জুড়ে সক্রিয় হয়েছে সেই তথ্য হাতানোর প্রতারণা চক্র। এমন পরিস্থিতিতে আধার কর্তৃপক্ষের (ইউআইডিএআই) নির্দেশ, বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আধারের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই করতে হলে গ্রাহককে সে কথা স্পষ্ট জানাতে হবে। কোন তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে এবং কেন, তা জানিয়ে ব্যবহারের আগে নিতে হবে সম্মতি। গ্রাহক যে সম্মতি দিচ্ছেন, তা-ও কাগজে লিখিয়ে বা বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে সংগ্রহ করতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে।
ইউআইডিএআই নির্দেশিকায় বলেছে, আধারের তথ্য ব্যবহার নিয়ে গ্রাহকের সম্মতি-সহ সার্বিক লেনদেনের সূচি (লগ) মজুত রাখতে হবে তা ব্যবহারকারী সংস্থাকে। তবে অনুমতি ছাড়া কারও আধার নম্বর জমা রাখা যাবে না। গ্রাহকের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে এবং লেনদেনে ওই নম্বর ও তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার সুরক্ষা ও গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে আশ্বাস দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, আধারের তথ্য মজুত রাখলে নম্বরের প্রথম আটটি সংখ্যাকে ঢেকে রাখতে হবে। জালিয়াতির ইঙ্গিত মিললে, তা জানাতে হবে দ্রুত।