প্রতীকী ছবি।
গত দু’বছরে প্রচুর মানুষ কাজ হারিয়েছেন। দারিদ্র সীমার নীচে নেমেছে বহু পরিবার। দেশ-বিদেশের একাধিক সমীক্ষায় স্পষ্ট, বিপজ্জনক উচ্চতায় পৌঁছেছে আর্থিক বৈষম্য। তাকেই আরও প্রকট করে উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্কের এক সমীক্ষায় উঠে এল, ২০২০-র তুলনায় গত বছর ভারতে তিন কোটি ডলারের বেশি (প্রায় ২২৬ কোটি টাকা) সম্পদশালী ধনকুবেরের সংখ্যা বেড়েছে। সেই দৌড়ে প্রথম সারিতে কলকাতা। কোটিপতি জনসংখ্যার হিসাবে ভারত বিশ্বে তৃতীয়, আমেরিকা ও চিনের পরেই। সারা বিশ্বে বৃদ্ধির হার ৯.৩%।
করোনার আগেই দেশে বেকারত্বের হার চার দশকের সর্বোচ্চ হয়েছিল। অতিমারি কাজের জগতকে আরও ক্ষত-বিক্ষত করেছে, বিশেষত অংসগঠিত ক্ষেত্রকে। এ দিন এই ক্ষেত্রের দুর্দশার কথা বলেছে নাইট ফ্র্যাঙ্কও। সম্প্রতি অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ধনীতম ১০ শতাংশের হাতে জাতীয় সম্পদের ৪৫%। নিচু তলার ৫০ শতাংশের ভাগে ৬%। এমন অবস্থায় নাইট ফ্র্যাঙ্কের সমীক্ষায় প্রকাশ, ধনকুবের (তিন কোটি ডলারের বেশি সম্পদশালী) ভারতীয়ের সংখ্যা ২০২১ সালে বেড়েছে প্রায় ১১%। কলকাতায় বৃদ্ধির হার ১১.৪%। ২৩১ থেকে বেড়ে ধনকুবের হয়েছেন ২৫৭ জন। ২০১৬ সালের (১১৯ জন) তুলনায় বৃদ্ধি ১১৫.৫%। বৃদ্ধির হারে দেশে প্রথম বেঙ্গালুরু (১৭.১%)। তার পরে মুম্বই (১২.৪%) ও দিল্লি (৯%)। সংস্থার সিএমডি শিশির বৈজলের মতে, শেয়ার বাজার এবং ডিজিটালের ব্যবহারই সম্পদ বাড়ার প্রধান কারণ।
দেখা গিয়েছে, গত বছর ওই বিত্তবানদের প্রায় ৩০% প্রথম বা দ্বিতীয় বাড়ি কেনায় টাকা খরচ করেছেন। সরাসরি বাণিজ্যিক প্রকল্পে লগ্নি করেছেন ২২%। দেশে-বিদেশে সম্পত্তি কিনেছেন অনেকেই। তাঁদের সম্পদের ১১% চিত্রকলা, গয়না, দামি এবং বিলাসবহুল গাড়ি-ঘড়ি-হাতব্যাগ ইত্যাদিতে খরচ হয়েছে। সেই শখ মেটাতে খরচ বেড়েছে প্রায় ২৯%। প্রায় ১৮% লগ্নি করেছেন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে।