গত ডিসেম্বরে এমপ্লয়িজ় স্টেট ইনশিওরেন্স কর্পোরেশনের (ইএসআইসি) আওতায় আসা নতুন সদস্যের সংখ্যা তার আগের মাসের তুলনায় কমে গিয়েছে। কমেছে কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফও) খাতা খোলা নতুন সদস্যও। কেন্দ্রের ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও) এক রিপোর্টে বলেছে, ২০১৯ সালের শেষ মাসে ইএসআইসি-তে যেখানে নাম লিখিয়েছেন ১২.৬৭ লক্ষ সদস্য, সেখানে নভেম্বরে ওই সংখ্যা ছিল ১৪.৫৯ লক্ষ। অন্য দিকে ইপিএফও-র ছাতার তলায় নিট ১০.০৮ লক্ষ নতুন কর্মী শামিল হলেও, তা আগের মাসের ১০.০৯ লক্ষ থেকে একটু কম।
সুরক্ষা প্রকল্পে যোগ দেওয়া নতুন সদস্যের এই সব হিসেবকে বিভিন্ন সময় নতুন চাকরি তৈরির পরিসংখ্যান বলে দাবি করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের যুক্তি, বহু অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী-শ্রমিকেরাও অনেক সময় নিয়মিত বেতনের আওতায় আসেন। তখন সরকারের এই সব সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে নাম ঢোকে তাঁদেরও। ফলে এগুলিকে শুধু নতুন কাজ তৈরির হিসেব বলে ধরা যায় না। তবে দেশের অর্থনীতি যখনখন ঝিমিয়ে, তখন দু’টি সুরক্ষা প্রকল্পেই এ ভাবে নতুন সদস্যের সংখ্যা কমে যাওয়া বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
সংবাদ সংস্থা