প্রতীকী ছবি।
উড়ান বাড়ছে অন্ডাল থেকে। শীতকালীন যে উড়ানসূচি সেখানে জমা পড়েছে, তাতে অন্ডালের সঙ্গে আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হতে চলেছে বাগডোগরা ও গুয়াহাটির। তা ছাড়াও অন্ডাল থেকে নিয়মিত চেন্নাই, মুম্বইয়েও উড়ান নতুন করে শুরু হবে। অন্ডালের সঙ্গে সরাসরি উড়ান চলবে দিল্লি ও হায়দরাবাদেও।
লকডাউনের আগে অন্ডাল থেকে এয়ার ইন্ডিয়া হায়দরাবাদ ও দিল্লির উড়ান চালাচ্ছিল। স্পাইসজেট চালাচ্ছিল মুম্বই এবং চেন্নাইয়ের উড়ান। অন্ডাল বিমানবন্দর সূত্রের খবর, লকডাউনের পরে এখনও সেখান থেকে উড়ান পরিষেবা চালু হয়নি। স্পাইসজেট জানিয়েছে, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর চেন্নাই ও মুম্বইয়ের উড়ান আবার চালু হতে চলেছে। তবে, সপ্তাহে সোম, বুধ ও শুক্রবার সেই উড়ান চলবে।
২৫ অক্টোবর থেকে শীতকালীন উড়ানসূচি চালু হতে চলেছে। আগে থেকে পরিকল্পনা করে উড়ান সংস্থাগুলিকে নিজস্ব সূচি ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)-কে জানাতে হয়। এ বার স্পাইসজেট ডিজিসিএ-এর কাছে যে শীতকালীন সূচি জমা দিয়েছে, সেখানে তারা অন্ডাল থেকে বাগডোগরা ও গুয়াহাটির উড়ান চালাবে বলে জানিয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, স্পাইসজেটের হাতে ছোট কিউ ৪০০ বম্বার্ডিয়ার বিমান রয়েছে। অন্ডাল থেকে গুয়াহাটি ও বাগডোগরাতে সেই বিমান তারা চালাবে বলে জানিয়েছে।
সূচি অনুযায়ী সপ্তাহে সাত দিনই বাগডোগরা ও গুয়াহাটির উড়ান পাওয়া যাবে। এখন যেখানে তারা সপ্তাহে তিনদিন মুম্বই ও চেন্নাইয়ের উড়ান চালাচ্ছে, শীতকালীন সূচি অনুযায়ী, ওই দুই শহরেও সপ্তাহে সাত দিনই উড়ান চালাবে। এয়ার ইন্ডিয়ার যে দুই শহরের উড়ান লকডাউনের পর থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তারাও সেটা একেবারে শীতকালীন সূচি থেকেই চালাবে বলে ঠিক করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া ডিজিসিএ-কে জানিয়েছে, অন্ডাল থেকে সপ্তাহে দুদিন উড়ান যাবে দিল্লি। চার দিন যাবে হায়দরাবাদ।
লকডাউনের পরে সারা দেশে অভ্যন্তরীণ উড়ান যখন চালু হয়, তখন রাজ্যের অন্য দুই বিমানবন্দর কলকাতা ও বাগডোগরা থেকে উড়ান পরিষেবা চালু হলেও অন্ডাল থেকে হয়নি। মাঝে জুলাই মাসের ৬ তারিখ কলকাতা থেকে দিল্লি, মুম্বই সহ দেশের ছটি রাজ্যের উড়ান নিষিদ্ধ করে দেয় তৃণমূল সরকার। বহু
মানুষ সরাসরি উড়ান না পেয়ে আটকে যায়। তখন অন্ডাল থেকে মুম্বই ও চেন্নাইয়ের উড়ান আবার চালু করার আর্জি জানায় স্পাইসজেট। এমনকি, তার সঙ্গে তারা অন্ডাল থেকে দিল্লির উড়ানও চালাতে চেয়েছিল।
স্পাইসজেটের যুক্তি ছিল, কলকাতা থেকে সরাসরি উড়ান না পেয়ে যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁরা সড়কপথে অন্ডাল গিয়ে সেখান থেকে দিল্লি মুম্বই চেন্নাই যেতে পারবেন। উল্টোদিকে ওই সব শহর থেকেও যাত্রীরা অন্ডালে এসে কলকাতা বা রাজ্যের অন্যত্র য়েতে পারবেন কিন্তু, রাজ্য সরকার সেই অনুমতি দেয়নি।
এদিকে কলকাতা বিমানবন্দরের পরিবর্ত হিসেবেও অন্ডালকে তুলে ধরতে চায় রাজ্য। সেখান থেকে উড়ান বাড়লে রাজ্যের সেই যুক্তি আর ধারালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কর্তা-ব্যক্তিদের দাবি, কলকাতার পরিবর্ত বিমানবন্দর বর্তমান বিমানবন্দরের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। কারণ, পরবর্তীকালে যখন দুটি বিমানবন্দর একসঙ্গে চালু থাকবে, তখন অন্য শহর থেকে এসে শহরের এক বিমানবন্দরে নেমে অন্য বিমানবন্দর থেকে আবার উড়ান ধরতে হতে পারে যাত্রীদের। সে ক্ষেত্রে দুটি বিমানবন্দরের মধ্যে দূরত্ব বেশি হলে সেটা সম্ভব হবে না।