প্রতীকী ছবি
আয়কর আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১৮২ দিন বা তার বেশি ভারতে থাকলে কিংবা একটি অর্থবর্ষে কম পক্ষে ৬০ দিন এবং আগের চারটি অর্থবর্ষে কমপক্ষে ৩৬৫ দিন থাকলে, তাঁকে ভারতে বসবাসকারী হিসেবে ধরার কথা। সে ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বিভিন্ন সূত্র থেকে তিনি যে আয় করেছেন, তার উপর ভারতে আয়কর মেটাতে হবে তাঁকে। কিন্তু লকডাউনের ফলে এখন বহু অনাবাসী ভারতীয় ও বিদেশি এ দেশে আটকে পড়েছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে যাতে ওই আইন কার্যকর না হয়, তার জন্য পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ জানিয়েছে, আয়কর হিসেবের ক্ষেত্রে তাঁদের এ দেশে থাকা লকডাউনের দিনগুলি ধরা হবে না।
এ ক্ষেত্রে আটকে পড়া ওই ব্যক্তিদের ভারতে থাকার দিনগুলি দু’টি অর্থবর্ষের মধ্যে পড়ছে। ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১। ফলে এ দেশে থাকার পুরো সময়কে দু’ভাগে ভাগ করতে হবে। আপাতত ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ। ধারণা, পরে চলতি বছরের জন্যও তা জারি করা হবে।
এর পাশাপাশি, আয়কর ছাড়ের সুবিধা পেতে সেবা প্রতিষ্ঠানগুলির নথিভুক্তির সময়সীমা চার মাস পিছিয়ে ১ অক্টোবর করেছে কেন্দ্র। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কিছু সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান অনুদানে করছাড় পায়।
করোনার আবহেই বাড়ছে স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম
ধার নিলেও টাকা নেই, কেন্দ্রের চোখ সংস্কারে
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ১ জুন থেকে এ সংক্রান্ত সংশোধিত আইন চালুর কথা। পুরনো আইনে এক বার নথিভুক্ত হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুবিধা বহাল থাকত। নতুন আইনে ওই অনুমোদন পাঁচ বছর অন্তর নবীকরণ করাতে হবে। লকডাউনের জন্য সেই নথিভুক্তির সময়সীমা পিছনো হল।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)