প্রতীকী ছবি
পেনশন সম্পর্কে ভারতে এখনও সচেতনতার অভাব রয়েছে বলেই ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে (এনপিএস) প্রত্যাশার তুলনায় সাড়া মিলেছে অনেক কম। বুধবার এ কথা জানিয়ে নিয়ন্ত্রক পিএফআরডিএআইয়ের চেয়ারম্যান সুপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এনপিএসে তাই গ্রাহক টানার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে এক দিকে যেমন সাধারণ মানুষের কাছে এর প্রয়োজনীয়তা এবং সুবিধার কথা আরও বেশি করে তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে, তেমনই ব্যবস্থা হচ্ছে সদস্যদের লগ্নির রিটার্ন বাড়ানোর। যে কারণে তহবিলের টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নির জন্য গ্রাহকদের আলাদা আলাদা ফান্ড ম্যানেজার নিয়োগের সুযোগ দেওয়ার কথাও ভাবছে পেনশন নিয়ন্ত্রক।
প্রায় ১৮ বছর আগে চালু হয় এনপিএস। পরে সরকারি সংস্থার কর্মীদের জন্য তা বাধ্যতামূলক হয়। এ দিন বণিকসভা সিআইআইয়ের সভায় সুপ্রতিমবাবু বেসরকারি সংস্থাতেও তা বাধ্যতামূলক করার সওয়াল করেন। তাঁর যুক্তি, বয়স হলে জমানো টাকার প্রয়োজনীয়তা বোঝা যায়। কিন্তু কর্ম জীবনের শুরু থেকে না জমালে তখন কিছু করার থাকে না। দেশে যৌথ পরিবার অস্তিত্ব হারাতে থাকায় পরিবারের সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনাও কমছে। অথচ নির্দিষ্ট হারে পেনশন পাওয়ার নিয়ম বর্তমানে প্রায় নেই বললেই চলে। তাই জোর করে এনপিএসে আমজনতার যোগদান বাড়ানো জরুরি বলে দাবি তাঁর।
সুপ্রতিমবাবুর বক্তব্য, এ পর্যন্ত ৯৫০০টি বেসরকারি সংস্থা এনপিএসে নথিবদ্ধ হলেও, এই ক্ষেত্রের সদস্য আটকে ১৩ লক্ষে। তাই পিএফের টাকা যেমন জমা দিতে বাধ্য নিয়োগকারী ও কর্মীরা, তা দরকার এনপিএসে-ও। এখান থেকে আয়ও উৎসাহজনক। টিয়ের-২ অ্যাকাউন্টের লগ্নিতে বছরে ৯.৫% হারে রিটার্ন মিলছে।