‘এনপিএস বাৎসল্য’ প্রকল্পতে লগ্নির জন্য বাড়ছে উৎসাহ। ছবি: সংগৃহীত
সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে ‘এনপিএস বাৎসল্য’ প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। প্রথম দিনেই যাতে দুর্দান্ত সাড়া মিলেছে বলে জানাল সরকার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৯ হাজার ৭০৫ জন নাবালক-নাবালিকাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনতে জমা পড়েছে আবেদনপত্র। চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর এনপিএস বাৎসল্য প্রকল্পটি চালু করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (পিএফআরডিএ) তত্ত্বাবধানে চলা এই প্রকল্পটি ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বা এনপিএসেরই একটা অংশ। এতে অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের খুব অল্প বয়স থেকেই অবসরকালীন সঞ্চয় শুরু করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারবেন।
পিএফআরডির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দিনে এই প্রকল্পে শুধুমাত্র ই-এনপিএস পোর্টালে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ১২ হাজার ১৯৭টি। আগামী দিনে যা কয়েক গুণ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রকল্পটি চালু করার সময় অর্থ মন্ত্রকের তরফে লাইভ স্ট্রিমিং করা হয়েছিল। যা দেখতে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, যে নাবালক-নাবালিকাদের নামে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে, তাদের পার্মানেন্ট রিটারমেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর বা প্রাণ কার্ড দেবে পিএফআরডি। এতে মা-বাবা, আইনি অভিভাবক ও অনাবাসী ভারতীয়রা তাঁদের সন্তানদের নামে লগ্নি করতে পারবেন। লম্বা সময়ের এই প্রকল্পে অবসরের পর মোটা টাকা হাতে পাবে সন্তান।
ছেলেমেয়ের অল্প বয়স থাকার সময় এই প্রকল্পে লগ্নির সুযোগ থাকায় এতে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের সুবিধা পাওয়া যাবে। পরবর্তী বছরগুলিতে যা সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করবে। অনলাইনে এনপিএস বাৎসল্য প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ রয়েছে। ফলে ঘরে বসেই এতে লগ্নি করা যাবে।
এই প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য প্রথমে ই-এনপিএস পোর্টালে লগ ইন করতে হবে। পোর্টালের হোম পেজেই মিলবে রেজিস্ট্রেশন অপশন। সেখানে ক্লিক করলে খুলবে একটি ফর্ম। যা মনোযোগ দিয়ে আবেদনকারীকে পূরণ করতে হবে। ফর্মটিতে লিখতে হবে সন্তানের নাম, বয়স-সহ যাবতীয় তথ্য। সব তথ্য দেওয়ার পর সাবমিট করলে খুলে যাবে অ্যাকাউন্ট। এর পর মাত্র হাজার টাকা জমা করলেই সন্তানের নামে প্রাণ পেয়ে যাবেন আবেদনকারী। এ ছাড়া ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমেও এতে অ্যাকাউন্ট খোলার রয়েছে সুযোগ।